English Version
আপডেট : ১০ আগস্ট, ২০১৮ ২২:০৪

ফরিদপুরের বাহাদুর

অনলাইন ডেস্ক
ফরিদপুরের বাহাদুর

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাইয়ে ফরিদপুরে ৩৫ হাজার ৯০৭টি পশু প্রস্তুত করেছে খামারিরা। কোনো প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যমুক্তভাবে এসব পশু পালন করা হয়েছে বলে জানান খামারিরা। আর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গরু মোটাতাজাকরণে খামারিদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করার কথা।

কোরবানির ঈদের পশু পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকার খামারিরা। শুধু কোরবানিকে সামনে রেখে ফরিদপুরে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট গরু মোটাতাজা করার খামার। তেমনি শহরতলির মুন্সীবাজার দেওড়া গ্রামের দেবদাস সাহা দেবু দীর্ঘ ৩২ মাস লালন-পালন করেছেন বাহাদুর বাবুকে (নিজের বাড়ির গাভীর বাচ্চা)। কোনো প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়া নিজের বাড়ির খড়, ভুসি, লবণ ও ক্ষেতের কাঁচা ঘাস খাইয়ে বড় করেছেন বাহাদুর বাবুকে। বিশাল আকৃতির বাহাদুর বাবুকে কোরবানির ঈদের জন্য ক্রয় করতে ও দেখতে দেবুর বাড়িতে ভিড় করছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। ২০ মণ মাংসের বাহাদুর বাবুর দাম তিনি হাঁকিয়েছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা। ইতোমধ্যেই বাহাদুর বাবুর দাম উঠেছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা। ঈদের বাকি আরও কিছু দিন। সে জন্য আরও কিছু ক্রেতাকে দেখাতে চান বাহাদুর বাবুর মালিক। 

দেবদাস সাহা দেবু বলেন, সারা বছরই আমরা খামারের দুধের গাভী পালন করি। তবে কোরবানির মৌসুমে কিছু ষাড় কিনে মোটাতাজা করি। নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনের মাধ্যমেই এ খামারের গরু মোটাতাজা করা হয়। কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করা হয় না। কিছুদিন আগে আমার খামার থেকে একটি দুধের গাভী (২৫ লিটার দুধের) বিক্রি করেছি সাড়ে ৩ লাখ টাকা। তিনি এ খামারের মাধ্যমেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুল হক বলেন, খামারিদের আমরা কীভাবে গরু মোটাতাজা করা যায় সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। এ ছাড়াও খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকি প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে।