English Version
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০১৮ ১১:২৮

নোয়াখালীতে বিমান বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

অনলাইন ডেস্ক
নোয়াখালীতে বিমান বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

বৃহত্তর নোয়াখালীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় অবশেষে নোয়াখালীতে একটি পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে বর্তমান সরকার। এর মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দুয়ার খুলছে। 

নোয়াখালী থেকে দ্রুততম সময়ে রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ অন্যান্য স্থানে আকাশ পথে ভ্রমণের জন্য প্রস্তাবিত বিমান বন্দরের জায়গা পরিদর্শনে গেল ২২ জুলাই বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ,কে,এম শাহজাহান কামালসহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। 

এদিকে, মন্ত্রীসহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ও  সিভিল এভিয়েশানের কর্মকর্তাদের স্বাগত জানাতে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী প্রস্তাবিত বিমান বন্দর এলাকায় এক বিশাল জনসভার আয়োজন করেন। 

জনসভায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মন্ত্রী শাহজাহান কামাল বিমান বন্দর স্থাপনের ঘোষণা দেন।  

বিমান মন্ত্রী বলেন, ‘নোয়াখালীতে বিমান বন্দর নির্মাণ করা আমার একটি স্বপ্ন ছিলো। সমীক্ষা শেষে রিপোর্টের পর নোয়াখালীতে বিমান বন্দর স্থাপন করা হবে। এখানে বিমান বন্দর হওয়ার জন্য একটি উপযুক্ত স্থান। আমি বৃহত্তর নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে অত্র অঞ্চলের জন্য কিছু করে যেতে চাই। আগে সে সুযোগ পাইনি। এখন সুযোগ এসেছে দারুণ কিছু করার।’ 

নতুন করে গড়ে তোলা হবে নোয়াখালী বিমান বন্দরের রানওয়ে [ছবি: নিউজ টোয়েন্টিফোর]

আগামী ৩ মাসের মধ্যে নোয়াখালীতে বিমান বন্দরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। 

নোয়াখালী জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার  দক্ষিণ-পশ্চিমে নির্মাণ করা হবে বিমান বন্দর। এর অবস্থান ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াপদা বাজারের সন্নিকটে। এখান থেকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পূর্বদিক পর্যন্ত বিশাল জায়গাজুড়ে রানওয়ে তৈরির কাজ নতুন করে শুরু করা হবে। ১৯৯৩ সালে ১৬ একর জমির ওপর বর্তমান রানওয়েটি গড়ে তোলা হয়েছিল। 

এ নির্মাণ কাজের পরামর্শক নিয়োগ শেষে সমীক্ষা যাচাইয়ের জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী অক্টোবরের মধ্যে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বরাবর এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।