English Version
আপডেট : ৬ জুলাই, ২০১৮ ১৪:৩৭
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল

পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষ

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বেড়েছে বেশির ভাগ নদনদীর পানি। এতে প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

এছাড়া দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও মাছের খামার। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক।

বিশেষ করে সুনামগঞ্জ, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও জামালপুরে কয়েক হাজার গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যাজনিত সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের স্বার্থে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব রকম ছুটি (হজ পালনের ছুটি ব্যতীত) বাতিল করেছে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য বিডি২৪লাইভ এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

সুনামগঞ্জ

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নদ-নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে। নতুন করে জেলার দোয়ারাবাজার, ছাতক, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

সড়ক প্লাবিত হওয়ায় বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অন্যদিকে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের সাথে নয় ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি আরো বাড়ছে। বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে বন্যার আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ বলেন, উপজেলা সদরের মাঝেরগাঁওয়ের পাশে সুরমা নদীর ভাঙন সংলগ্ন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পানি ওঠায় দোয়ারাবাজার-ছাতক সড়কে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে ছাতক উপজেলা সদরের সঙ্গেও অন্যান্য স্থানের সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। উপজেলার ১৩টি ইউপি ও একটি পৌরসভার অধিকাংশ বাসাবাড়ি রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। রোপা আউশ ও বোনা আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।