English Version
আপডেট : ৪ জুলাই, ২০১৮ ১৯:৫৮

জোয়ার ভাটার ফাঁদে বন্দি কলাপাড়ায় সাত গ্রামের মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
জোয়ার ভাটার ফাঁদে বন্দি কলাপাড়ায় সাত গ্রামের মানুষ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়ায় জোয়ার-ভাটার ফাঁদে সাত গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহ ধরে রাবনাবাদ নদের দুই দফা জোয়ারের পানিতে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সহস্রাধিক পরিবার। বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবল স্রোতের সঙ্গে পানি প্রবেশ করছে। জোয়ার ভাটার ফাঁদে আটকা পড়েছে ওই পরিবারগুলো। আর এ কারণে এসব এলাকায় এখন দেখা দিয়েছে চাষাবাদ বিপর্যয়। মানুষের জীবন-জীবিকার শঙ্কা। বর্তমানে এ ইউনিয়নে চলছে নির্বাচন। বানবাসি এসব এলাকার প্রায় তিন হাজারের মানুষের কাছে নির্বাচন এখন নিরুত্তাপ।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া, চৌধুরীপাড়া, মুন্সীপাড়া, নয়াকাটা, নাওয়াপাড়া, ছোট পাঁচ নং, বড় পাঁচ নং গ্রামে জোয়ারের পানিতে থৈ থৈ করছে। জোয়ারের সময় বাড়িঘরে থাকা তো দূরের কথা, চলাচলের রাস্তা পর্যন্ত ডুবে যায়। অনেকেই চলচলের জন্য নৌকা কিংবা কলাগাছের ভেলা ব্যবহার করছে। বিস্তীর্ণ ফষলের মাঠ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। স্কুলগামী ছেলে-মেয়েদের ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ওই এলাকার শতভাগ কাঁচা-পাকা সড়ক।

স্থানীয়রা জানায়, সিডরের সময় রাবনাবাদ পাড়ের এই বেড়িবাঁধটি বিধ্বস্ত হয়। জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হলেও প্রতি বছরই তা ভেঙ্গে পড়ছে। বিগত বছর বর্ষা মৌসুমে বাঁধটি পুনরায় বিধ্বস্ত হয়। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং শের-ই বাংলা নৌ-ঘাঁটির জন্য ওই এলাকার অধিকাংশ জমি অধিগ্রহণের আওতায় থাকায় বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধটি মেরামতের কাজ করছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গৃহবধূ মাহমুদা জানান, জোয়ারের পানিতে বাড়িঘরসহ রান্নার চুলা পর্যন্ত ডুবে গেছে। জোয়ারের সময় ঘরে বন্দি থাকতে হয়। আর ভাটায় কাদাপানি পেরিয়ে চলাচল করতে হয়। বাবুল শিকদার জানান, প্রতিদিন দুই দফা জোয়ারে গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে যাচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নাই। সেখানে চলমান নির্বাচনী উত্তাপ এখন আর নাই।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মীর তারেকুরজ্জামান তারা জানান, জনগণের দুর্ভোগ লাগবে বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবুল খায়ের সাংবাদিকদের জানান, রাবনাবাদ পাড়ের অধিকাংশ জমি পায়রা পোর্টসহ নৌ-ঘাঁটির জন্য অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।