প্রবল বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে সিরাজগঞ্জে বাবা-ছেলেসহ ৫ জন মারা গেছেন।

সকালে হঠাৎ কাল মেঘে ঢাকা পড়ে আকাশ। ঝড়ো বাতাসের সাথে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। ছিল বজ্রপাতও। এতে সুনামগঞ্জ, নওগাঁ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাজীপুর ও রাঙ্গামাটিতে ১ জনে করে ৫ জন নিহত হন। 

এছাড়া ৩ জন মারা গেছেন মাগুরায়, নোয়াখালীতে ২ জন এবং সিরাজগঞ্জে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন ৫ জন।

এসব স্থানে আরও অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সিরাজগঞ্জে নিহতরা হলেন, শাহজাদপুর পৌর এলাকার ছয়আনিপাড়া মহল্লার ফারুক হাসানের ছেলে নাবিল হোসেন (১৭), রাশেদুল হাসানের ছেলে পলিং হোসেন (১৬), কাজীপুর উপজেলার ডিগ্রি তেকানী গ্রামের মৃত পারেশ মন্ডলের ছেলে শামছুল মন্ডল (৫৫) ও শামছুল মন্ডলের ছেলে আরমান (১৪) এবং কামারখন্দের পেস্তক কুড়াগ্রামের মৃত আহের মন্ডলের ছেলে কাদের হোসেন (৩৭)।

মাগুরায় বজ্রপাতে মারা গেছেন অক্কুর পাড়ার ভ্যানচালক শামীম, ব্লুগ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আলম ও জয়পুরহাটের মনপুরা এলাকার আলম মিয়ার ছেলে মেহেদী। মাগুরা সদর থানা পুলিশের এসআই আশ্রাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সুনামগঞ্জে নিহতের নাম লিটন সদর। তিনি উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়ার ছেলে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বজ্রপাতে আব্দুর রহিম (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। 

নওগাঁর সাপাহারে বজ্রপাতে গৃহবধূ সোনাভানের (২৪) মৃত্যু হয়েছে।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে জাফরুল ইসলাম (২০) নামে পোশাক শ্রমিকের। সেখানে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে মনছুরা বেগম (৩৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন স্কুল ছাত্র পিয়াল (১৩)। এছাড়া মো. শাহীন (২৬) নামে অপর এক ধান কাটার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আব্বাস (২৫) ও মনির হোসেন (৫৫) আহত হয়েছেন।