English Version
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০১৮ ১৫:২৯

কুকুর ও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জবাসী

অনলাইন ডেস্ক
কুকুর ও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জবাসী

কুকুর ও মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ নগরবাসী। বিভিন্ন এলাকার জলাশয় ও ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার না করায় এগুলো মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে কুকুর নিধন না করায় লোকজনের মধে আতংক বাড়ছে।

সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভির সাথে মশার তীব্র উপদ্রপ সহ কতিপয় নাগরিক সমস্যা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবি সিদ্দিক ও সাধারন সম্পাদক আবদুর রহমান মতবিনিময় করেন।

নাগরিক কমিটির নেতারা জানান, বিগত কয়েক মাস হতে নারায়ণগঞ্জ মহানগরে মশার অসহনীয় উপদ্রবে নগরবাসী অতিষ্ঠ। দিনের বেলাতেও মশার আক্রমনে ও ভনভন শব্দে অতিষ্ঠ নগরবাসী ক্ষুব্ধ ও সেই সাথে ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে না এবং চিকনগুনিয়া রোগের ভয়ে মানুষ আতংকগ্রস্ত। অন্যদিকে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রপে ভীত নগরবাসী। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির প্রত্যাশা নগরবাসীর। সেই সাথে অবৈধ পলিথিনের অবাধ ব্যবহার ও এর উচ্ছিষ্ট পরিবেশের অবনতিতে আতংকগ্রস্ত নগরবাসী।

মতবিনিময় কালে প্রতিনিধিগণ আসন্ন বর্ষার পূর্বেই নগরের অধিকাংশ ড্রেন পরিস্কার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অন্যথায় জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। মেয়র ধৈর্য সহকারে  সমস্যাগুলো শোনার পর বলেন, ইতোমধ্যে মশা নিধনের কাজ শুরু হয়েছে। যদিও এখনও তেমন সুফল পরিলক্ষিত হচ্ছে না বলে প্রতিনিধিগণ মত প্রকাশ করেন। কুকুর নিধনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে মেয়র উল্লেখ করলে প্রতিনিধিগণ কুকুরের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করার মত প্রকাশ করলে মেয়র এর সীমাবদ্ধতার কথা বলেন। ড্রেনের প্রশ্নে মেয়র যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে আশ^স্ত করেন। পলিথিনের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে অন্যান্য বিষয়গুলোর উপর যথাযথ গুরুত্ব দিবেন বলে প্রতিনিধিগণকে জানান।

শহরের বাগে জান্নাত এলাকার বাসিন্দা মো. শরীফ বলেন, প্রতিদিন মশা মরার ওষুধ ছিটানো হয় না। দিনের বেলাতেই মশার যন্ত্রণায় বসে কাজ করা যায় না। রাত হলে এ যন্ত্রণা আরো বাড়ে। যার জন্য সারাক্ষণ দরজা জানালা বন্ধ রাখতে হয়। কয়েল, মশারি, ওষুধ স্প্রে কোনো কিছুতেই মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন,প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফোনে সহ বিভিন্ন ভাবে প্রচুর অভিযোগ আসছে। আমরা চেষ্টা করছি। প্রতিদিন সকাল বিকেলে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. এহসানুল হক বলেন, এখনও পর্যন্ত মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত নেই। কিছুদিন পর বৃষ্টি হলে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগী দেখা যাবে। তখনই ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া এসব রোগী আসবে হাসপাতালগুলোতে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগীর হিরণ বলেন, সারা বছরই মশার ওষুধ ছিটানো হয়। কয়েকদিন ধরে মশার উপদ্রব বাড়ায় সব ওয়ার্ডে সকালে ও বিকেলে দুই বেলা ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তারপরও কোন এলাকা থেকে অভিযোগ দিলে সেখানে ওষুধ ছিটানোর জন্য লোক পাঠানো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ময়লা আবর্জনা, ডেন সহ জলাশয়গুলোতে প্রতিদিনই ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়াও নগরীর ময়লা দ্রুত পরিস্কার করা হচ্ছে।