English Version
আপডেট : ১ মার্চ, ২০১৮ ১৬:৫৬

সীমান্তে উত্তেজনা, হঠাৎ করেই ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনা বাড়াল মিয়ানমার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে হঠাৎ করেই অতিরিক্ত সেনা ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এমনকি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা তাতে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
অনলাইন ডেস্ক
সীমান্তে উত্তেজনা, হঠাৎ করেই ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনা বাড়াল মিয়ানমার

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক।

জানা যায়, ভারী অস্ত্রের পাশাপাশি হালকা অস্ত্র বাংলাদেশের দিকে তাক করেছে বর্মী সেনারা। এতে করে সীমান্তের জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতংক ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। এদিকে, শূণ্যরেখার বাংলাদেশ অংশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক অবস্থায় থেকে টহল জোরদার করেছে।

রোহিঙ্গা আলী হোসেন ও এমদাদুল্লা জানান, বর্মী সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশের ভূখণ্ডের দিকে অস্ত্র তাক করে রেখেছে। এছাড়া, শূণ্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের দিকেও অস্ত্র ঘুরিয়ে রেখেছে তারা।

তবে কেন হঠাৎ করে মিয়ানমার সীমান্তে সৈন্য বাড়িয়েছে তা জানা যায়নি।

সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গারা জানান, সকাল থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা মর্টারসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। তাদের সাথে বিজিপির সদস্যদেরও দেখা যাচ্ছে। এতে করে রোহিঙ্গারা আতংকের মধ্যে রয়েছেন। তবে এ অবস্থাতেও কোনো রোহিঙ্গা এখনো সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকেনি।

প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ রোহিঙ্গাই এখন বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এসব শরণার্থীকে ফেরাতে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। তবে এতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশের তরফ থেকে গত মাসে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর আশা করা হলেও প্রস্তুতির অভাবে তা শুরু করা যায়নি।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে তাদের রাখাইনে ফেরার আহ্বান জানান। তবে রোহিঙ্গাদের দাবি, সেখানে নাগরিকত্বের দাবি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে ফিরবেন না তারা। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি না দিয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বিবেচনা করে মিয়ানমার।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে বেশ কয়েক কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া বসিয়েছে মিয়ানমার। শরণার্থীরা বলছেন, অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসিয়ে তাতে সশস্ত্র সেনা প্রহরা বসানো হয়েছে।