English Version
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮ ১২:০৩

৩০০ মিটার দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু

অনলাইন ডেস্ক
৩০০ মিটার দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু

প্রথম স্প্যানের পর দ্বিতীয় স্প্যান বসানো হয়েছে পদ্মা সেতুতে। রোববার সকাল সোয়া ৯টার সময় শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্তের ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর এই সুপার স্ট্রাকচার বসানো হয়। এরই মধ্য দিয়ে ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু।

এর আগে, অনেক চেষ্টা করেও দ্বিতীয় স্প্যানটি শনিবার বসানো সম্ভব হয়নি। পরে এটিকে ভাসমান ক্রেনে ৩৮-৩৯ নম্বর পিলারের কাছে রাখা হয়। শনিবার সকাল থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্তের ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়। নাব্যতা সংকটের কারণে সারাদিন চেষ্টা করেও স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়নি।

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, ৩ হাজার ৬০০ টন ওজনের একটি ভাসমান ক্রেন দিয়ে মাওয়া থেকে জাজিরা প্রান্তে স্প্যানটি আনা হয়। গত সোমবার রাতে ‘তিয়ান ই’ ক্রেনে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি আসে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। এমন ৪১টি স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতুটি তৈরি হবে।

২০১৪ সালের ২৮ জুন চায়না মেজর ব্রীজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানীর সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ বিশিষ্ট পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কংক্রিট ও ইস্পাতের তৈরী দ্বিতল বিশিষ্ট এ সেতুতে মোট পিলার বা খুঁটি থাকবে ৪২টি।

বর্তমানে প্রায় ৫০ ভাগ পিলার নির্মাণের কাজ চলমান। এক পিলার থেকে আরেক পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। মোট স্প্যান বসানো হবে ৪১টি। একেকটি স্প্যানের ওজন ৩ হাজার মেট্রিক টনের বেশী। পদ্মা সেতুর প্রতিটি পিলারের নিচে ৬টি করে পাইল বসানো হচ্ছে। এ সেতুতে মোট ২৪০টি পাইল বসানো হবে।

এ পাইল গুলো ৯৬ মিটার থেকে ১২৮ মিটার মাটির গভীরে বসানো হচ্ছে। সূত্রমতে, এ পর্যন্ত শতাধিক পাইল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতল বিশিষ্ট এ সেতুর নিচ দিয়ে চলবে রেল গাড়ি আর উপর দিয়ে যাতায়াত করবে যাত্রী ও পন্যবাহি যানবাহন। পানির স্তর থেকে ৬০ ফিট উঁচু হবে মূল সেতু। সেতুর প্রস্থ্য ৭২ ফিট,যা হবে ৪ লেন বিশিষ্ট। এ সেতু নির্মাণে চার হাজারেরও বেশী দেশী বিদেশী জনবল দিন-রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।