English Version
আপডেট : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০৬:৩৫

প্রেমিকার বাড়িতে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু

প্রেমিকার বাড়িতে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু

 

নাটোরের লালপুরে প্রেমিকার বাড়িতে এসে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে কাওছার হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক। কাওছার হোসেন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের রিয়াজুল মির্জার পুত্র এবং তার প্রেমিকা সাগরী খাতুন লালপুরের কদিমচিলান ইউনিয়নের দাঁইড়পাড়া গ্রামের সাহানুজ্জামান মেকারের মেয়ে।

 

বুধবার সকালে কাউসার হোসেন বিষপান করলে ঘটনার একদিন পর বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় । 

 

স্থানীয়রা জানান, ঢাকাস্থ আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করতে গিয়ে সাগরি খাতুনের (২৫) সাথে কাওছার হোসেনের (৩৫) প্রেমের সম্পর্ক হয়। তারপর আশুলিয়া এলাকায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে প্রায় দুই বছর একসাথে বসবাস করেন।

 

বিষয়টি সাগরিকার পরিবারের লোকজন আগে থেকেই জানতো। এর আগেও কাওছার হোসেন সাগরি খাতুনের বাড়িতে এসেছে। তাদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটির একপর্যায়ে কাওছার হোসেন মঙ্গলবার বিকেলে সাগরির বাবার বাড়ি লালপুরের দাঁইড়পাড়া গ্রামে আসে।

 

ওই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাগরি খাতুন ট্রাক ভাড়া করে আশুলিয়ার বাসা থেকে আসবাবপত্র ও বিভিন্ন মালামাল নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। বাসার সব মালামাল নিয়ে আসা নিয়ে সেখানে রাতে সাগরি ও কাওছারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় সাগরি খাতুন তাদের সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করে।

 

এক পর্যায়ে সাগরির আত্মীয় স্বজনরা কাওছারকে মারধর করে। মার খেয়েও ওই বাড়িতেই সে রাত্রি যাপন করে। পরদিন (বুধবার) সকাল আটটার দিকে সাগরি খাতুনের পিতা সাহানুজ্জামান গ্রামবাসীর সহযোগীতায় কাওছার হোসেন ও সাগরি খাতুন দু’জনকেই বাড়ি থেকে বের করে দেন।

 

বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রেমিকার উপর অভিমান করে বিষপান করে কাওছার হোসেন। গ্রামবাসী তাকে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া’র আমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে খবর পেয়ে কাওছারের আত্মীয়-স্বজনরা রাতেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে সে মারা যায়। 

 

কদিমচিলান ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মাস্টার ও লালপুর থানার ওসি আবু ওবায়েদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।