মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা সৃষ্টির জেরে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আজ শনিবার ভোরেও টেকনাফের হোয়াইক্যং তুলাতলী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অন্তত ১০০ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া উখিয়ার পালংখালী, দরগাহবিল, রহমতের বিল, বালুখালীসহ বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে সেনাবাহিনীর সাতটি ক্যাম্পে ‘আল ইয়াকিন’ নামক রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠনের সশস্ত্র জঙ্গিরা হামলা চালায়। এরপর মুসলমান অধ্যুষিত কয়েকটি রাজ্য অবরুদ্ধ করে রাখে সেদেশের সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের কয়েকটি গ্রামে থেমে-থেমে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মুসলমানরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি রাখাইনরা কয়েকটি গ্রামের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় তাদের ঘরবাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। কয়েকটি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার আকাশে ঘুরে ঘুরে দেখছে। ফলে জীবনের ভয়ে রোহিঙ্গারা বিচ্ছিন্নভাবে উখিয়া-টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের চোরাই পথ দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে টেকনাফ ও উখিয়ার সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান, বিজিবি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কোনো রোহিঙ্গাকেই এদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এদিকে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল সীমান্তে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে উখিয়া থানার ওসি  মো. আবুল খায়ের জানিয়েছেন।