টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নৌকা চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে একজন নিহত হয়েছে। ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মির্জাপুর মহিলা কলেজ সহ এলাকার অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে বলে খোজ নিয়ে জানা গেছে।    জানা গেছে, তারাকান্দির বাঁধ ভাঙার পর থেকে মির্জাপুরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।ইতিমধ্যে পৌর এলাকার ১,২,৪,৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়ক সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক গুলি পানিতে তলিয়ে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।    পৌর এলাকা সহ উপজেলার প্রধান প্রধান আঞ্চলিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে অন্তত দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ ঘোষনা না হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি হৃাস পাওয়ায় অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।    মির্জাপুর-কামারপাড়া, কুর্নি-ফতেপুর, কদিমধল্যা-বরাটি, কদিমধল্যা-মহেড়া, মির্জাপুর-গোড়াইল, দেওহাটা-গেড়ামাড়া, মির্জাপুর-কেদারপুরসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।    এদিকে গোড়াইল গ্রামে নৌকা চালাতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়ীয়ে সাইফুল (৩২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলায়। সে ওই গ্রমের কবিরের বাড়িতে থেকে দিনমজুরের কাজ করত বলে জানা গেছে।    অপরদিকে ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও ৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকে বন্যার পানি প্রবেশ করায় স্বাসথ্য সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।    উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায় বন্যার কারনে ৪৭৮ হেক্টর আমন, সবজি ৮৫ হের্ক্ট এবং ১৫ হেক্টর লেবু বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।