English Version
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০১৭ ১২:২৪
শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ ১৩ জনের মৃত্যু

জামালপুরে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি অব্যাহত

অনলাইন ডেস্ক
জামালপুরে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি অব্যাহত

জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট সন্ধায় যমুনা নদীতে বন্যার পানি বিপৎসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। যাহা বিগত দুই শ বছরের সকল ভয়াবহ বন্যার রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এতে জামালপুর জেলার প্রায় ৯ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এবং জেলার সর্বত্রই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি অব্যাহত রয়েছে।  

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, গত তিন দিন ধরে বন্যার পানি হ্রাস পাচ্ছে। জেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে শনিবার সকালে যমুনায় বন্যার পানি বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

জামালপুর জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের ভযাবহ বন্যায় জামালপুর জেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৮টি ইউনিয়ন ও ৮টি পৌরসভাসমূহের ৫৮৩টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। এ বন্যায় জামালপুরের ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪২ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং জামালপুরের ৪৮ হাজার ১৮৭ হেক্টর কৃষি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ভয়াবহ বন্যার কারণে সারা জেলার ১১০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও এ বছরের ভয়াবহ বন্যার কারণে শনিবার সকাল পর্যন্ত শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

জামালপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে আরো জানা গেছে, ১৯ আগস্ট শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বন্যার্তদের জন্য ১৪৩৮ মেট্রিক টন চাল ও ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হযেছে। তন্মধ্যে ৭৬৮ মেট্রিক টন চাল ও ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

বাকি চাল ও নগদ টাকা বিতরণের প্রক্রিয়ায় রযেছে। এ ছাড়াও বন্যার্তদের চিকিৎসাসেবার জন্য সারা জেলায় ৭৭টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।