English Version
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৭ ১৮:৩৩

ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানোর অপচেষ্টা অপরাধ : কাজী ফিরোজ রশীদ

ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানোর অপচেষ্টা অপরাধ : কাজী ফিরোজ রশীদ

 

ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানোর অপচেষ্টা অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ। 

 

তিনি বলেন, ধর্ম হচ্ছে পালনের বিষয়, যে যার ধর্ম পবিত্রতার সঙ্গে পালন করবে।  সকল ধর্মের মানুষের উচিত অন্যোর ধর্মের উৎসবে গিয়ে সামিল হওয়া । এতে করে ভ্রাতৃত্বমুলক সর্ম্পক্য  জোরদার হয়।  ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো  উচিত না। কিন্তু আমাদের দেশে অনেকেই তা করার চেষ্টা করেন। আমরা যদি ধর্মকে রাজনীতির উর্দ্ধে রাখতে পারি, তাহলে অন্তত ধর্মীয় উৎসবকে উপলক্ষ করে সরকার রাজনৈতিক মতে মানুষ এক মঞ্চে বসতে পারি। 

 

জন্মষ্টমী উপলক্ষে সোমবার সকালে রাজধানী পুরার ঢাকার লালকুঠি মিলনায়তনে শ্রৗকৃষ্ণ সেবা সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

সংগঠনের আহবায়ক নকুল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাংবাদিক সুজন দে এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য  ঢাকা-৪ আসনের এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, বিএনপির চেয়ারর্পাসনের উপদেষ্টা সঞ্জিব চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, আওয়ামী  স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক  এডভোকেট তাপস কুমার পাল, ঢাকা মহানগর  দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সমরেন্দ্র নাথ রায় ( সমর ) ৪৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী আরিফ হোসেন ছোটন, ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রৗমৎ চারু চরণ ব্রক্ষচারী, দীপক চন্দ্র গুপ্ত, হরিরঞ্জন মজুমদার, ইন্দ্রজিত দাশ, ডিকে সমির, গোপাল দাশ। 

 

আলোচনা সভায় আবু হোসেন বাবলা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমি মনে করি এদেশে হিন্দুরা ভারতের চেয়েও বেশি নিরাপদে বসবাস করেন। মাঝে মাঝে দুই একটা স্থানে কিছু সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে। তবে এর পেছনে একটি অশুভ শক্তি  জড়িত। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এটা করা হয়।

 

বিএনপির চেয়ারর্পাসনের উপদেষ্টা সঞ্জিব চৌধুরী বলেন, আমরা কথায় কথায় বলি এদেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়, এটা ডাহা  মিথ্যা। আসলে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর জন্য এ অপপ্রচার করা হয় । হিন্দুরা কথায় কথায় বলেন, আমরা ভারতে চলে যাবো। আগে আমাদের মানসিকতা ঠিক করতে হবে। এদেশকে আগে নিজের দেশ মনে করতে হবে।