English Version
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৭ ১৬:২৭

কোরবানির জন্য নাটোরে প্রস্তুত ২ লাখ ৩৭ হাজার পশু (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক
কোরবানির জন্য নাটোরে প্রস্তুত ২ লাখ ৩৭ হাজার পশু (ভিডিও)

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নাটোরে এবার ২ লাখ ৩৭ হাজার পশু মোটাতাজা করা হচ্ছে। এরমধ্যে গরু রয়েছে ৬৫ হাজার।

নাটোরের খামারিরা জানিয়েছেন, কোনো রকম স্টেরয়েড ব্যবহার ছাড়াই এবার নাটোরে পশু মোটাতাজা করা হচ্ছে। তবে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশের ঘোষণায় এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। তারা জানান, প্রতিবছরই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নাটোরে হাজার হাজার গরু মোটাতাজা করা হয়ে থাকে। সরেজমিনে নাটোরের বিভিন্ন এলাকার খামারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গরু মোটাতাজা করার পাশাপাশি চলছে বাড়তি যত্ন নেয়ার কাজ। জেলার প্রায় সব উপজেলাতেই প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করা হলেও গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা, বামন খোলা, বামন গারা গ্রাম এর মধ্যে অন্যতম। ওই এলাকার খামারি সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর কোরবানির ঈদের পরপরই এই সব খামারিরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কম দামে গরু সংগ্রহ করে। পরে তারা ৯ থেকে ১০ মাস গরুগুলোকে লালন পালন করার পর হাটে বিক্রি করে। তবে এবার গমের ভুষি, খৈল, খড়সহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে গরু পালনে হিমশিম খেতে হয়েছে খামারিদের। খামারিরা জানান, গত কোরবানি ঈদে ভাল দাম না পাওয়ায় অবিক্রিত অনেক গরু হাট থেকে ফেরত আনতে হয়েছে। এতে গরু লালন-পালনে লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। কিন্তু এবারো কোরবানি ঈদে গরুর চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে বৈধ পথে গরু আসার ঘোষণা দিয়েছে বিজিবি। এই ঘোষণার পর থেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। ঈদের আগে আবারো ভারত থেকে গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করলে দেশীয় খামার মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়বে এমনটাই আশঙ্কা তাদের। নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন জানান, গত বছর নাটোর জেলায় গরু, মহিষ, ছাগলসহ ১ লাখ ৭৩ হাজার পশুকে মোটাতাজা করা হয়েছিল। এ বছর সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে ২ লাখ ৩৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এইগুলো নাটোরের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। স্টেরয়েড জাতীয় খাবার ব্যবহার করে কৃত্রিম উপায়ে কোনো গরু যাতে মোটাতাজা করতে না পারে সেজন্য খামারিদের ডাটাবেজ তৈরি করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এছাড়া খামারগুলো বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।