English Version
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০১৭ ১২:০৪

তিস্তা-ধরলার ৬৩ চরের মানুষ পানিবন্দী

অনলাইন ডেস্ক
তিস্তা-ধরলার ৬৩ চরের মানুষ পানিবন্দী

গত তিনদিনের ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।

গত সোমবার সকাল থেকে তিস্তা-ধরলার ৬৩ চরের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। এসব   মানুষদের সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নিবার্হী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।

হঠাৎ পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারেজ এলাকা, হাতীবান্ধার তিস্তা নদী বেষ্টিত কয়েকটি ইউনিয়ন, কালিগঞ্জের ভোটমারী, কাকিনা ইউপি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, মোগলহাট, কুলাঘাট, রাজপুর  এলাকার তিস্তা ও ধরলা বেষ্টিত চরের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

শনিবার সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ডালিয়া ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। আর ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহ বাড়তে থাকলে লালমনিরহাটের শতাধিক গ্রামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

জেলা মৎস্য অফিসার রেজাউল ইসলাম জানান, প্রবল বর্ষণে জেলার দু’শতাধিক পুকুর ও খালের মাছ ভেসে গেছে। পথে বসেছে কয়েক হাজার মাছ চাষি। এছাড়া কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধানসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।