English Version
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০১৭ ১২:০৩

বর এলেন হাতির পিঠে, কনে...

অনলাইন ডেস্ক
বর এলেন হাতির পিঠে, কনে...

তানোর উপজেলায় শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বিয়েটা ছিল বেশ আলোচিত। কারণ বর বিয়ে করতে এসেছিলেন হাতির পিঠে চড়ে। অন্যদিকে বিয়ে শেষে কনে শ্বশুরবাড়িতে গেছেন ঘোড়ার গাড়িতে করে।</p>

রাজশাহীর তানোর উপজেলা সদরের আমশো মথুরাপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত বিয়েটি এখন এলাকার মানুষের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

<p>বর হাসান মাসুদ (২৯)। তিনি তানোর আব্দুল করিম সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন। তার বাবা মৃত আলতাফ হোসেন। শুক্রবার বিয়ের দিন বেলা ১১টার দিকে হাতির পিঠে চড়ে বর হাসান মাসুদ রওনা হন নতুন বউ আনতে। সঙ্গে বরযাত্রীরা যান মাইক্রোবাসে।

বাড়ি থেকে প্রায় ১২ কিলেমিটার দূরে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে জেসমিন আরার (২০) সঙ্গে বিয়ে হয় বর হাসান মাসুদের।

বিয়ে শেষে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান বর হাসান ও কনে জেসমিন। আধুনিক যুগে যান্ত্রিক যানবাহন ব্যবহার না করে বিয়েতে এমন ব্যতিক্রমধর্মী হাতি ও ঘোড়ার গাড়ি বাহন হিসেবে ব্যবহার করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হাতির পিঠে চড়ে বর আসছে, এ খবরে বিয়ে বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।

বরের আত্মীয়রা জানান, হাসান ভাইয়ের বিয়েতে দুইটি হাতি ভাড়া করে আনা হয় নওগাঁর ধামুরহাট থেকে। এছাড়া একটি ঘোড়ার গাড়িতে পালকি সাজিয়ে আনা হয় পাশের পবা উপজেলার নওহাটা থেকে। এতে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।

বরের মা জোসনা বেগম বলেন, ‘বিয়েতে কোনো যৌতুক নেইনি। শখের বশে এক ছেলে রিপনের বিয়েতে ঘোড়ার গাড়িতে করে বউ আনা হয়। আর এবার আরেক ছেলে হাসানের বিয়েতে হাতি ও ঘোড়ার পালকির ব্যবস্থা করেছি।’

তানোর কলেজের প্রভাষক আব্দুল আজিজ মণ্ডল বলেন, ‘আগের দিনে রাজা-বাদশাদের হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে হতো। এ এলাকায় হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে এই প্রথম দেখলাম।’