English Version
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৭ ১৬:৪৭
বর্ষার ভরা মৌসুমে
নদীতে মাছের আকাল

জেলে পরিবারে হাহাকার

জেলে পরিবারে হাহাকার
ছবি : ইন্টারনেট

 

 

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদীগুলোতে বর্ষার ভরা মৌসুমেও মাছ না থাকায় জেলে পরিবারে হাহাকার দেখা দিয়েছে। জীবিকার তাগিদে তারা মাছ ধরা পেশা ছেড়ে দিয়ে অনেকে রিক্সা, ভ্যান গাড়ি, দিন মজুরি করে কোন রকমে দিন যাপন করছেন।

 

চিরিরবন্দর উপজেলার ডাঙ্গার হাট জেলে পাড়ার হরিশ, দেবেশ, নরেশ, সাতনালা গ্রামের মতিয়ার, মুকুল, ফিরোজসহ অনেকেই  জানান, ভরা নদী বেলান, ইছামতি, আত্রাইসহ ছোট খাটো নদী গুলোতে কোন প্রকার মাছ না থাকায় তাদের মাছ ধরার উপকরণ হিসেবে জাল, পলই, ফান্দী, ডারকি, ভোরং, বর্কসা, চিপ, ডেরকি, জোলগা গুলো কোন কাজে আসতেছে না। ফলে মাছ ধরতে না পেরে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

 

খরা মৌসুমে নদীগুলো শুকিয়ে গেলে নদী ভরাট করে চাষাবাদ করা, সারা বছর নদীর ছোট খাটো খাল-বিলে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনসহ নদীর উপরে আবাদী জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করায় বর্তমানে ভরা নদীতে দেশী মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে তেমন দেখা মেলেনা কাঙ্কিত দেশী প্রজাতির  মাছ। ফলে এলাকায় আমিষের অভাব অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে।

 

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক দয়াল রায় জানান, দেশী প্রজাতির মাছকে বাচাঁতে নদ-নদী খাল বিল খনন করে মাছের অভয় আশ্রম তৈরী করে করলে হয়তো আবার ফিরে আসবে বাঙ্গালীর প্রধান খাবার মাছ। সেইসাথে দেশের জেলে পরিবারগুলো আবার তাদের পুরনো পেশায় ফিরে গিয়ে সুখে শান্তিতে দিন যাপন করতে পারবে।

 

তিনি আরও বলেন, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন করলেই দেশ মাছে সমৃদ্ধ হবেনা। মৎস্য সপ্তাহের স্বার্থকতাকে কাজে লাগাতে হলে সবাইকে সচেতন হয়ে কীটনাশক প্রয়োগের ব্যবহার কম ও মা মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে।

 

চিরিরবন্দর উপজেলা মৎস্য  কর্মকর্তা মোছা: কামরুন নাহার বলেন, আমরা নদীতে পোনা অবমুক্ত কর্মসূচি আগষ্ট মাসে করে থাকি। দেশী মাছের আকালের কারণ কীটনাশকের অবাধ ব্যবহার মাছের অভয়াশ্রমগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়া। তবে এলাকার মানুষ সচেতন হলে আবার দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।