বিশ্ব বাঘ দিবস আজ শনিবার (২৯ জুলাই)। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ রক্ষা করব’। কিন্তু আশঙ্কাজনক হারে কমছে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা। ২০০৪ সালের জরিপে ৪৪০টি বাঘের অস্তিত্বের কথা বলা হলেও বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি। বনবিভাগ ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে জরিপ করে এ সংখ্যা নির্ধারণ করেছে।

বনবিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ছয় হাজার ১৭ কিলোমিটার আয়োতনের সুন্দরবনে ১৯৮২ সালে বাঘ ছিল ৪৫৩টি, ২০০৪ সালে ৪৪০টি এবং ২০১৫ সালে এ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০৬টিতে।

এদিকে পৃথিবীতে বাঘ আছে এমন ১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ২০১০ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বাঘ সম্মেলনে বাঘ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধিতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপরে ২০১৪ সালে ঢাকা সম্মেলনেও ১০ দফা প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রধান আবাসস্থল সুন্দরবন হলেও এদের রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ না থাকায় বাঘের মৃত্যু আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আশঙ্কাজনক হারে বাঘ কমে যাওয়ার জন্য চোরা শিকারীদের দৌরত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের অভাব এবং খাদ্য সংকট ও নিরাপত্তা না থাকা অনেকটা দায়ী।

সুন্দরবনে বাঘ গবেষণাকারী সংস্থা ‘ওয়াইল্ড টিম’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুবুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, গত সাড়ে তিন দশকে সুন্দরবন ও এর আশপাশ এলাকায় চোরা শিকারী ও বনদস্যুদের হানা, গণপিটুনি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৬৭ বাঘের মৃত্যু হয়েছে। 

এদিকে বাঘ দিবস উপলক্ষে বন অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাট জেলা সদরে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিন বিশ্ব বাঘ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আজ দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। 

বাঘ রয়েছে বিশ্বের এমন ১৩টি দেশ যেমন, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ও রাশিয়ায় প্রতি বছর এ দিনটি পালিত হয়।