English Version
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১৯:১৬

ওসির বাসভবনে কুকুরের হামলা, নিরাপত্তাকর্মী আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
ওসির বাসভবনে কুকুরের হামলা, নিরাপত্তাকর্মী আহত

সাভারের ধামরাইয়ে ওসির বাসভবনে একদল কুকুর হামলা চালিয়েছে। এতে বাড়ির কেয়ারটেকার আহত হয়েছে। কুকুরের কামড়ে ওসির পোষা দুইটি ভেড়া মারা গেছে।

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ধামরাই থানা কম্পাউন্ডে অবস্থিত ওসির বাসভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। 

ধামরাই থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু বলেন, নিধন বন্ধ রাখায় কুকুরের বংশ বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। 

তিনি বলেন, শনিবার আমার বাসভবনে ঢুকে ভেড়া দুটিকে কামড়ে মেরে ফেলেছে একদল কুকুর। এসময় কুকুরের কবল থেকে ভেড়া দুটো বাঁচাতে গিয়ে আমার বাসার নিরাপত্তা কর্মী শামসু মিয়াও আহত হয়েছেন। 

ওসি আরো জানান, শখ করে কালামপুর পশুরহাট থেকে ৫-৬ মাস আগে ১৬ হাজার টাকা দিয়ে এ দুটি ভেড়া কিনেছিলাম। ভেড়া দুটিকে আমি নিজ হাতে গোসল করাতাম ও খাবার দিতাম।

এদিকে ধামরাই পৌরশহরে কুকুরের অস্বাভাবিক উপদ্রব বেড়েছে। এতে ধামরাই পৌরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত ১০ দিনে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের আক্রমণে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।  ধামরাই পৌরসভার প্রতিটি মহল্লায় সর্বত্র পাগলা কুকুর আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাস্তায় বের হলে শিশুদের কোনো নিরাপত্তা নেই। এ বিষয়ে ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির মোল্লা বলেছেন, সরকারি বিধি নিষেধ থাকায় কুকুর নিধন অভিযান চালানো যাচ্ছে না। যে হারে কুকুরের উপদ্রব বেড়ে চলছে তাতে জরুরি ভিত্তিতে একটা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। 

তিনি জানান, ১০ দিনে অর্ধশতাধিক মানুষ কুকুরের হামলায় আহত হয়েছেন। সড়কে চলাচল করতেও ভয় পাচ্ছে পৌর এলাকার মানুষ।

ধামরাই থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার অজুহাতে কুকুর নিধন বন্ধ রাখা হলে আশঙ্কাজনক হারে কুকুরের বংশ বিস্তার বৃদ্ধি পাবে। আর এতে মানুষের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। ধামরাই পৌরশহরের ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ইসলামপুর মহল্লার বাসিন্দা মো. শহীদুল্লাহ বলেন, কুকুরের উপদ্রব এতটাই বেড়েছে যে, লাঠিসোঠা নিয়ে তাড়া করলেও উল্টো কুকুর দলবদ্ধ হয়ে মানুষের দিকে তেড়ে আসে।

মোঃ ইলিয়াছ মোল্লা