English Version
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১৫:৪৪

নড়াইলে অবৈধভাবে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তুলছেন ২০০ জন !

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি
নড়াইলে অবৈধভাবে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তুলছেন ২০০ জন !

নড়াইলে প্রায় ২০০ জনকে অবৈধভাবে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার সাবেক মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধা বি এম ইকরামুল হক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর ভিত্তিতে দুদক তদন্ত শুরু করেছে। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক কমলেশ মণ্ডল গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে, সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে ও ব্যক্তিদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। কিছু কাগজ পাওয়া গেছে, আরও কাগজপত্র পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। গত বছরের জুলাই মাসে ইকরামুল হক এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিবার্তা নম্বর ব্যবহার করে তাঁর ভাইকে অবৈধভাবে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ওই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এ ব্যাপারে আপত্তি জানালে তাঁকেও ২০১৩ সাল থেকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে দুজনের ভাতাই চালু রয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ও ছেলে—দুজনকেই ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আরেকজন মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে অন্য ইউনিয়নের এক নারীকে ওই মুক্তিযোদ্ধার কন্যা সাজিয়ে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে দুটি হিসাবের মাধ্যমে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আবার আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা চার বছর আগে মারা গেলেও গত বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত তাঁর নামে ভাতা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ধরনের বর্ণনা দিয়ে আরও ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে ইকরামুল হক অভিযোগ করেন, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। কালিয়ায় ভাতা গ্রহণযোগ্য মুক্তিযোদ্ধা হবেন সর্বোচ্চ ৫৫০, অথচ ভাতা পাচ্ছেন ৭৫৬ জন। প্রায় ২০০ জনকে অবৈধভাবে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অসিত কুমার সাহা অসৎ উদ্দেশ্যে এসব ভাতা বিতরণের ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বিতরণ কমিটির সদস্যসচিব নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সভাপতি নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। অসিত কুমার সাহা ২০০৮ সাল থেকে গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত কালিয়ায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমান নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা উত্তম সরকার বলেন, ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ১৯ জনের ভাতা ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। অন্য সবার ব্যাপারেও যাচাই-বাছাই চলছে। অসিত কুমার সাহা আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, বুধবার মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই দুই ভাইয়েরই মুক্তিযোদ্ধা-সংক্রান্ত সনদ আছে। সনদ ভুয়া কি না, তা যাচাই করা আমাদের বিষয় নয়। আর উত্তরাধিকারীদের ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যানদের ওয়ারিশ সনদের ভিত্তিতে ভাতা দেওয়া হয়। অন্য অভিযোগগুলোও সঠিক নয়। তিনি না জেনে এসব অভিযোগ করেছেন।