English Version
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৫:০১

স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

সজল কুমার মহন্ত,
নিজস্ব প্রতিবেদক
স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে উত্তর শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ সরকারের শিক্ষা অধিদপ্তর ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরারবে লিক্ষিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৫-২০১৭ অর্থ বছেরে বার্ষিক উন্নয়ন (স্লিপ) খাত থেকে বিদ্যালয়ের অনুকূলে বরাদ্ধকৃত অর্থ কোন প্রকার কাজ না করে ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করেছে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম। 

তিনি নিয়মিত স্কুলে যান না। কখন স্কুলে যান এবং কখন প্রস্থান করেন তার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। প্রধান শিক্ষকের সাথে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সখ্যতা থাকায় প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেও কাজ হয় না।

সহকারী শিক্ষক ফিরোজা খাতুন গত ২৮ জুন ২০১২ইং হতে ৩০ জুন ২০১২ইং পর্যন্ত সন্তান প্রস্রব জনিত কারণে গাইবান্ধা রাবেয়া ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন অথচ উল্লেখিত তারিখে ছুটি না দেখিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে বিদ্যালয়ের উপস্থিত দেখিয়েছেন। 

বিদ্যালয়ের নামে কৃষি জমি ও পুকুর গোপনে লিজ দিয়ে ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করে আসছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের স্থানীয় নৈশ্য প্রহরীকে দিয়ে অভিভাবকদের অপমান অপদস্থ করেন। 

এদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের এসব অনিয়ম দুর্নীতি, নিয়মিত সঠিক সময়ে স্কুলে না যাওয়াসহ নানাবিধ অপকর্মের কারণে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা সুযোগ নিচ্ছে। ফলে স্কুলের ক্লাসের পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলে মনে করছেন।

গত ১৯/১২/২০১৬ইং তারিখের ১০৪৬নং স্মারকে এ ব্যাপারে সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করা হলে, মোতাবেক গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামন চৌধুরী জেপ্রাশিঅ/গাই/২০১৭/২৩/১২ স্মারকে ১৬/০১/২০১৭ইং তারিখ ১১ ঘটিকার সময় তদন্ত নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তদন্ত স্থগিত হয়ে গেলে হতাশ হয়ে পড়েছে অভিভাবক মহল। 

এ ব্যাপারে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দ্রুত তারিখ নিধারণ করে তদন্ত সম্পন্ন করা হবে।

অভিভাবকরা মনে করেন দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।