English Version
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৮:২৪

নোয়াখালীতে এবিএম জাফর নির্বাচিত, ১ ওয়ার্ডের ভোট স্থগিত

মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল,
নিজস্ব প্রতিবেদক
নোয়াখালীতে এবিএম জাফর নির্বাচিত, ১ ওয়ার্ডের ভোট স্থগিত

নোয়াখালী : নোয়াখালীতে জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ১৫টি ওয়ার্ডের পরিবর্তে ১৪টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে একটানা দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলে। ৮৪৬ ভোট পেয়ে সরকার দলীয় প্রার্থী এবিএম জাফর উল্যাহ বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ডা.একেএম জাফর উল্যা পেয়েছেন ২৪২ ভোট।

হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ৪ নং ওয়ার্ডের সব পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে এবং ২, ৬ এবং ৯ ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে।

সকাল ৯টায় জেলা শহরের কৃষ্ণরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। ভোটগ্রহণ শুরু প্রথম ১ ঘন্টার মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভোটার ভোট সম্পন্ন করেছে। এই কেন্দ্রে দুপুর ১২টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।

চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম জাফর উল্যাহর চশমা প্রতীকের এজেন্ট সহিদ উল্যাহ জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোন ধরনের প্রভাব ছিল না। প্রশাসনের প্রচেষ্টায় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হয়েছে। 

মেম্বার প্রাথী আকবর হোসেন কচির তালা প্রতীকের এজেন্ট আবুল কাশেম জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, জীবনের সেরা নির্বাচন এই প্রথম দেখলাম। 

প্রিজাইডিং ও সদর উপজেলা সমবায় অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। সকাল নয়টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর বারটার মধ্যে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। কৃষ্ণরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৮৯জন ভোটার ২টি বুথে ভোট দেয়, এদের মধ্যে পুরুষ ৬৯ জন ও নারী ভোটার ছিল ২০জন। 

এছাড়াও ১ হাজার ১শত ৬৩জন জনপ্রতিনিধি ভোটার হিসেবে ১৪টি কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করেন।

এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ০৪জন, সাধারণ সদস্য পদে ৭৩ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মোট ভোট কেন্দ্রে সংখ্যা ১৫টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ৩০টি। 

জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মনির হোসেন জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও আইন শৃংখলা রক্ষায় ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৩ প্লাটুন বিজিবি, ১ প্লাটুন কোস্ট গার্ড এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন ছিল।