English Version
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১২:৫১

ব্যস্ত মাদারীপুরের কামারশালা

অনলাইন ডেস্ক
ব্যস্ত মাদারীপুরের কামারশালা

ক্ষুদ্র লৌহজাত শিল্পের উপর নির্ভরশীল মাদারীপুর পুরান বাজারের পেশাদার কামারদের কামারশালাগুলো। বছর ঘুরে পবিত্র ঈদুল আজহা এলেই লোহার নানা জিনিস তৈরির টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে ওঠে ব্যস্ত এ শহর। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানী পশু জবাই করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন মাদারীপুরের প্রায় ৩০০ কামাররা।

কোরবানীর জন্য দা, বিভিন্ন সাইজের চাকু, ছোড়া ও বটির এখন ভীষণ চাহিদা। আবার কেউ পুরনো দা, বটি, ছুরি সান দিচ্ছেন। তবে বিগত সময়ের তুলনায় এসব সরঞ্জামাধীর দাম বেড়েছে প্রায় দ্বি-গুন। ফলে রাতদিন কাজ চলছে এখন কামারশালাগুলোতে।

কোরবানী ঈদ যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন কামার ও ক্রেতারা। তবে সময়মত তৈরি করা সব সরঞ্জামাধী বিক্রি করতে পারবে কিনা সেই হতাশায় রয়েছে মাদারীপুরের কামাররা।

জেলার বিভিন্ন কামারশালা ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে  ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কামাররা। সারা বছর কাজ না থাকলে ও কোরবানীর ঈদের এই সময়টা বরাবরই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। পশু জবাইর সরঞ্জামাদী কিনতেও লোকজন ভীড় করছেন। কামারের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে গরুজবাইর বিভিন্ন উপকরণ। ছোট ছুরি থেকে শুরু করে বড় ছুরি ও চাপাতি সান দেয়ার জন্য ৫০টাকা থেকে কাজের গুণাগুণের ভিত্তি করে ৬০ থেকে ১০০টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়।

এছাড়া প্রতিটি দা ২শ’ টাকা, ছোট ছুরি ৫০টাকা, বটি ১৫০শ’ টাকা, চাপাতি ৪০০-৫০০ টাকা করে বিক্রি করা হয় বলে জনান কামাররা।

বিপ্লব নামে এক কামার দোকানী জানান, এখন অল্প স্বল্প বেচাকেনা শুরু হলেও ঈদের তিনদিন আগে থেকেই বিক্রি আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। সাধারণ লোকেরা নিজেরাও লোহা এনে দা, চাকু ও ছুরি বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে কয়েকজন বিক্রেতা জানান, ঈদ উপলক্ষে লৌহজাত পন্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কোরবানীর একটি ছোরা ৫শ থেকে ৬শ টাকা, বিভিন্ন সাইজের চাকু ৬০ থেকে ১১০ টাকা, বটি ২শ’ থেকে ৪৫০ টাকা, দা ৪শ থেকে ৬শ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের  দু’দিন আগে এর দাম আরও বাড়তে পারে বলে তারা আশা করেন।