English Version
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৬ ১৭:১৩

সীমাহীন লোডশেডিংয়ে গাইবান্ধায় দূর্ভোগ

নুরে শাহী আলম
 সীমাহীন লোডশেডিংয়ে গাইবান্ধায় দূর্ভোগ

গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সুন্দরগঞ্জে প্রতিদিন পৌর ও মফসল এলাকাতেই ৫ থেকে ৬ বার করে ১ থেকে দেড় ঘন্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে।

সোমবার সকাল থেকেই সুন্দরগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতি এক থেকে দুই ঘন্টা পর পর লোডশেডিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে এ অবস্থা আরো ভয়াবহ। তাই বিদ্যুৎ নিয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে একটি কথা চালু রয়েছে- ‘পল্লী অঞ্চলে বিদ্যুৎ যায় না’ বরং ২৪ ঘন্টায় মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য আসে।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে মোমবাতি জ্বালিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডিগ্রী পরীক্ষা চলাকালে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছে। ফলে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, বড় পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মেরামত কাজ শুরু হওয়ায় সেখান থেকে গ্রীড লাইনে গাইবান্ধা বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে বিদ্যুৎ আসছে মাত্র ৩ থেকে ৪ মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে এই চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছে মানুষ।

আরো জানা গেছে, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২২ থেকে ২৪ মেগাওয়াট। কিন্তু সেখানে পলাশবাড়ির গ্রীড লাইন থেকে দিনে ১৬ থেকে ১৭ মেগাওয়াট এবং রাতে বিশেষ করে পিক আওয়ারে ১২ থেকে ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে সংগত কারণেই গ্রামগুলোতে লোডশেডিং করে শহর এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে ঘাটতির সময়গুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

তবে গ্রামাঞ্চলের লোকজন জানিয়েছেন, শুধু পিক আওয়ারেই নয় দিনের বেলাতেও ৩ থেকে ৫ ঘন্টা লোডশেডিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এদিকে গাইবান্ধা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি কবে নাগাত হবে এ ব্যাপারে গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ নিশ্চিত করে তা বলতে পারে না।