English Version
আপডেট : ২৭ জুন, ২০১৬ ০৩:২৭

রাজশাহীতে দুইশ নারী ইয়াবা সিন্ডিকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীতে দুইশ নারী ইয়াবা সিন্ডিকেট

রাজশাহী মহানগরীতে প্রায় ২ শতাধিক নারী ইয়াবা সিন্ডিকেট চক্রের সাথে কাজ করছে বলে গোয়েন্দার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এসব নারীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। এই নারী সিন্ডিকেট চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে পরিকল্পনা মাফিক ইয়াবা সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীতে উঠতি বয়সের যুবতী নারীদের দিয়ে ইয়াবা শহরের বিভিন্ন স্থানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। এরা নারী হওয়ায় বোরখা পরে অটোরিক্সায় চড়ে খুব সহজেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা সরবরাহের কাজ করে থাকে। ইয়াবা পাচারের কাজে নিয়োজিত নারীরা খুব কৌশলে এ কাজ করে থাকে। তবে মাঝে মধ্যে যেসব এদের মধ্যে দুই একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় ইয়াবা সিন্ডিকেট চক্র তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় এ চক্র মাদক বেচাকেনার কাজ করে তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাগরপাড়া, শিরোইল কলোনি, হাদির মোড়, আলিপ লাম মিম ভাটা এলাকা, দড়িখরবনা, তালাইমারি, লক্ষীপুর ভাটাপাড়া, গুড়িপাড়া, আলিগঞ্জ, লিলি সিনেমা হলের মোড় এলাকা ও কোর্ট স্টেশন এলাকা।

আর মাদক সরবরাহের জন্য ইয়াবা সিন্ডিকেট চক্রটি নগরীর বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়া সুন্দরী নারী ছাত্রীদের টার্গেট করে এ কাজে ব্যবহার করে। এ রকম প্রায় ২ শতাধিক নারী সক্রিয়ভাবে বোরখা পরে বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করে। এদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার ইয়াবা সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করতে শুরু করে। আর মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে।

জানা গেছে, শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই খালিদ নগরীর আলিগঞ্জ থেকে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ হাসিনা নামের এক মহিলাকে আটক করে। সে ওই এলাকার হেলালের স্ত্রী। পুলিশ তাকে মাদক বিক্রির প্রস্তুতির সময় আটক করে। পরে তাকে মাদক মামলায় চালানা দেয়া হয়।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দিবাগত রাতে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার বাসার রোডের কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির প্রস্তুতিকালে ৫০ পিস ইয়াবাসহ সায়লা রহমান ওরফে মিমি (২২) কে আটক করে ডিবি পুলিশ। পুলিশের হাতে আটক মিমি নগরীর টিকাপাড়া এলাকার আজাদের স্ত্রী। তার নামে থানায় ২/৩টি মাদক মামলা রয়েছে। তাকেও মাদক মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। মিলি ও হাসিনার মত প্রায় ২ শতাধিক নারী ইয়াবা বিক্রি ও সরবরাহের কাজে সিন্ডিকেট চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে। এরা পুলিশের কাছে আটক হওয়ার পরে মূল হোতাদের নাম বলেনা। যার কারণে মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে নগর ডিবি পুলিশের এসআই খালিদ বলেন, রাজশাহী মহানগরীতে একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট চক্র কাজ করছে। পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা করছে। পুলিশ এদের মধ্যে কাউকে আটক করলেও এসব নারীরা পুলিশের কাছে মুখ খুলতে চায়না। এ কারণে মূল হোতাদের আটক করা সম্ভব হচ্ছেনা। তারা বড় ধরণের সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূল হোতাদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।