English Version
আপডেট : ৩ জুন, ২০১৬ ২০:২৫

চেয়ারম্যান এনামুলের বিরুদ্ধে আবারো চাঁদাবাজী মামলা

এলাকাবাসীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চেয়ারম্যান এনামুলের বিরুদ্ধে আবারো চাঁদাবাজী মামলা

পাইকগাছায় সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান (বিএনপি) এস এম এনামুল হকের বিরুদ্ধে আবারো থানায় চাঁদাবাজী মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ইউনিয়নের পারবয়ার ঝাপা গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মারপিট ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান এনামুল সহ ৩১ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। যার নং- ১৭। এদিকে নির্বাচন পরবর্তী চেয়ারম্যান এনামুল সহ সংখ্যালঘুদের আসামী করে একাধিক মামলা হওয়ায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। গত ২২ মার্চ সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান এনামুল ও তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৮টি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে ২টি ও পরে ৩টি এবং নির্বাচন পরবর্তী এ পর্যন্ত চেয়ারম্যান এনামুলের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করা হয়েছে। সকল মামলায় অধিকাংশ আসামী করা হয়েছে হিন্দু সমর্থীত কর্মী ও সমর্থকদেরকে। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গত মঙ্গলবার সোলাদানা বাজারে বাজার করাকে কেন্দ্র করে পারবয়ার ঝাপা ও উত্তর কাইনমুখী গ্রামের দু’জনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কমবেশি মারপিটের ঘটনা ঘটে। যদিও মামলায় মাঝেরাবাদ শিশুতলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে চেয়ারম্যান এনামুল সহ ৩১ জনকে আসামী করে থানায় মারপিট ও এক লাখ টাকার চাঁদাবাজী মামলা করে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক জানান, গত মঙ্গলবার যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে জড়িয়ে মামলা করা হয়েছে এ ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আমার কোন স¤পৃক্ততা নেই। কারণ ঐ দিন আমি মামলার সাক্ষী দিতে খুলনার আদালতে ছিলাম। পরবর্তীতে এলাকায় আসার পরে জানতে পারি সোলাদানা বাজারে বাজার করাকে কেন্দ্র করে পারবয়ার ঝাপা ও উত্তর কাইনমুখি গ্রামের ৩/৪ জনের মধ্যে বিরোধ বাধে এবং বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে তুচ্ছ এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমাকে অহেতুক আসামী করা হয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত প্রতিপক্ষরা নির্বাচন পরবর্তী আমার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩টি অহেতুক মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা করেছে। এদিকে চেয়ারম্যান এনামুল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বিরুদ্ধে নির্বাচন পরবর্তী একের পর এক মামলা হওয়ায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।