English Version
আপডেট : ২৫ মে, ২০১৬ ১৫:২৪

নীলফামারীতে ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

অনলাইন ডেস্ক
নীলফামারীতে ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

সুমন মূখাজী নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমার কলেজ শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রাকিব হাসান পাপ্পুকে (২২) হত্যার দায়ে তিন ব্যাক্তির মৃত্যুদন্ডের রায় প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাহবুবুল আলম এই রায় ঘোষনা করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো জেলার ডোমার উপজেলার বাগডোকরা গ্রামের আব্দুল হাকিম মুহুরীর ছেলে কামরুজ্জামান সেবু (২৮) এবং পলাতক থাকা লালমনিরহাট জেলা সদরের নওদাবস গ্রামের  আনছার আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪৩) ও একই জেলা সদরের ছাটহর নারায়ন গ্রামের মৃত প্রসন্ন কুমার রায়ের ছেলে বুদ্ধদেব রায় বৈদ্য(৪২)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায় ডোমার পৌরসভার চিকনমাটি গ্রামের রেজাউল হক বেলালের ছেলে রাকিব হাসান পাপ্পুকে  ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই রাতে  পাপ্পুর চাচা ডোমার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানুর চাকুরিচ্যুত গাড়ী চালক  কামরুজ্জামান সেবু সু-কৌশলে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। রাকিব হাসান পাপ্পু তার মোটরসাইকেলে করে গিয়ে আসামীদের সাথে দেখা করলে আসামীরা তাকে   ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বুড়ারডোবা নামক স্থানে গলা কেটে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হত্যার শিকার পাপ্পুর  চাচা মোখমেদুল হক চানু বাদী হয়ে ডোমার থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলার সুত্র ধরে অভিযান চালিয়ে লালমনিরহাট থেকে আসামী তিনজন সহ মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে। আসামীদের মধ্যে দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকার পর সিরাজুল ইসলাম ও বুদ্ধদেব রায় বৈদ্য জামিনে থেকে পলাতক থাকে। আর মামলার প্রধান আসামী কামরুজ্জামান সেবু গ্রেফতারের পর থেকেই জেলহাজতে বন্দী ছিল।

ঘটনার মাত্র দুই বছর ১০ মাস ৮ দিনের মাথায় মামলার সাক্ষিদের সাক্ষ্যগ্রহন শেষে আদালত উক্ত রায় প্রদান করেন। ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি এ্যাডঃ আজিজুল হক প্রামানিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।