English Version
আপডেট : ২৫ মে, ২০১৬ ১৩:৪৯

কেয়ামতের নতুন আলামত প্রকাশ, তাও আবার বাংলাদেশে

অনলাইন ডেস্ক
কেয়ামতের নতুন আলামত প্রকাশ, তাও আবার বাংলাদেশে

সুরা মুযাম্মিল এ বলা হয়েছে, যে কেয়ামত যখন নিকটে আসবে তখন এক বুড়া বাচ্চার জন্ম হবে। “অতএব, তোমরা কিরূপে আত্নরক্ষা করবে যদি তোমরা সেদিনকে অস্বীকার কর, যেদিন বালককে করে দেবো বৃদ্ধ? [সুরা মুযযাম্মিল: ১৭] মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামে অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেড়ে উঠছে একটি শিশু। বৃদ্ধ মানুষের চেহারা নিয়ে মাতৃগর্ভ থেকেই শিশুটির জন্ম হয়। দিনে দিনে এখন আরো প্রকটভাবে ধরা দিচ্ছে বার্ধক্যের ছাপ। গত চার বছর ধরে অসহায় বাবা মা দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হলেও কোনো সুফল মেলেনি। তবে এই ধরনের শিশুর জন্ম এই প্রথম বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। খালিয়া গ্রামের কৃষক হাশেম শিকদারের ছেলে লাভলু শিকদারের পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় আপন খালাতো বোন তৃপ্তির সঙ্গে। বিয়ের এক বছরের মাথায় তাদের এই ছেলে সন্তানটির জন্ম হয় অন্য শিশুদের চেয়ে ভিন্ন চেহারা নিয়ে। সুরা মুযাম্মিল এ বলা হয়েছে, যে কেয়ামত যখন নিকটে আসবে তখন এক বুড়া বাচ্চার জন্ম হবে। “অতএব, তোমরা কিরূপে আত্নরক্ষা করবে যদি তোমরা সেদিনকে অস্বীকার কর, যেদিন বালককে করে দেবো বৃদ্ধ? [সুরা মুযযাম্মিল: ১৭] মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামে অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেড়ে উঠছে একটি শিশু। বৃদ্ধ মানুষের চেহারা নিয়ে মাতৃগর্ভ থেকেই শিশুটির জন্ম হয়। দিনে দিনে এখন আরো প্রকটভাবে ধরা দিচ্ছে বার্ধক্যের ছাপ। গত চার বছর ধরে অসহায় বাবা মা দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হলেও কোনো সুফল মেলেনি। তবে এই ধরনের শিশুর জন্ম এই প্রথম বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। খালিয়া গ্রামের কৃষক হাশেম শিকদারের ছেলে লাভলু শিকদারের পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় আপন খালাতো বোন তৃপ্তির সঙ্গে। বিয়ের এক বছরের মাথায় তাদের এই ছেলে সন্তানটির জন্ম হয় অন্য শিশুদের চেয়ে ভিন্ন চেহারা নিয়ে। শিশুটির মা তৃপ্তি জানান, জন্মের পর থেকেই আমার সন্তানকে দেখে সবাই ভয় পায়। কিন্তু আমার তো কিছু করার নেই। এই সন্তানকে আঁকড়ে আছি। তিনি আরো জানান, জন্মের পর সাড়ে তিনবছর পর্যন্ত সে (বায়োজিদ) দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারত না। গত ছয়মাস সে দাঁড়াতে পারছে। হাঁটতেও পারছে। কিন্তু অত্যন্ত দুর্বল শরীর নিয়ে চলতে হয় তাকে। শিশুটির বাবা লাভলু শিকদার বলেন, আল্লাহ আমার মতো গরীব কৃষক পরিবারে এমন সন্তান দিয়েছেন। স্থানীয় বিভিন্ন চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে গেছি। কিন্তু কারো কাছ থেকেই চিকিৎসা পাইনি। দেশে বা দেশের বাইরে কোনো চিকিৎসা আছে কি না তাও জানি না। বিদেশে নিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই।’ শিশুটির বিষয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট দেবাশিষ বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের দেশে এই ধরনের শিশু সম্ভবত প্রথম। এর আগে তুহিন নামে একটি শিশুকে পাওয়া যায়। কিন্তু সেটির সঙ্গে এই শিশুটির ভিন্নতা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, অতীতে পাওয়া শিশুটির ক্ষেত্রে দেখা গেছে জন্মের কিছুদিন পর তাদের শরীরে বার্ধক্য দেখা দেয়। যেটিকে প্রোজেরিয়া রোগাক্রান্ত বলা হয়। সাধারণত বাবা মায়ের জিনগত সমস্যার কারণে এটি হয়। সারা বিশ্বে এ ধরনের ৬৮ জন শিশু এখন পর্যন্ত বার্ধক্য শরীর নিয়ে বেঁচে রয়েছে। কিন্তু জন্মকালীন বার্ধক্য নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশু সম্ভবত এটিই প্রথম।