English Version
আপডেট : ১৫ মে, ২০১৬ ১৯:৪৫
সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ

ডিওতে গুনছে কার্ডধারীরা অতিরিক্ত খরচ

আল-মামুন
ডিওতে গুনছে কার্ডধারীরা অতিরিক্ত খরচ

খাগড়াছড়ি জেলার নব গঠিত গুইমারা উপজেলার  ৫  গুচ্ছগ্রামের মধ্যে চারটি গুচ্ছগ্রামের ১২৩৭ কার্ডধারী পরিবারদের জন্য বরাদ্ধকৃত কার্ডে প্রতি মাসের ডিওতেই গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত কেয়ারিং খরচ। যার ফলে গুচ্ছগ্রামের বন্দীশালায় আবদ্ধ অসহায় কার্ডধারীদের মরার উপর খারার ঘাঁ হয়ে দাড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জরুরী বিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিলেই গুইমারা উপজেলার অন্তরভূক্ত জালিয়াপাড়া, বড়পিলাক, সিন্দুকছড়ি ও হাতিমুড়া গুচ্ছগ্রামের পরিবারদের জন্য বরাদ্ধকৃত খাদ্যশষ্য গুইমারা খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলনের সাশ্রয় হবে  অসহায় গুচ্ছগ্রামের কার্ডধারী পরিবার ও সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা।

স্থানীয় জানা যায়, গুইমারা উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন গুইমারা উপজেলা ঘোষনার পুর্বে  রামগড়,মহালছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের অন্তভূক্ত ছিল। যার কারনে সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম তিন ইউনিয়নের লোকজন তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে কেবল মাত্র প্রশাসনিক জটিলতার করনে গুইমারা উপজেলায় খাদ্য গুদাম থাকার পরও পূর্বে  সিন্ধুকছড়ি, বড়পিলাক, জালিয়াপাড়া ও হাতিমুড়া  গুচ্ছগ্রামের কার্ডধারীদের বরাদ্ধকৃত খাদ্যশষ্য চাউল-গম রামগড় খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করতে হতো।

গুইমারা থেকে রামগড় উপজেলা দুরত্বের প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার। যার ফলে তিন চার গুন পরিবহন খরচ বহন করতে হচ্ছে প্রতিনিতই। তাছাড়াও প্রকল্প চেয়াম্যানসহ গুচ্ছগ্রামের সাথে সংশ্লিষ্টদের আসা-যাওয়ায় খরচ হয় অতিরিক্ত। যার পুরো প্রভাবটায় পড়েছে অসহায় গুচ্চগ্রাম পরিবারদের উপর। ফলে রামগড় খাদ্য গুদাম থেকে চাউল-গম, আনা-নেওয়া মোটা অংকের লোকসান গুনতে হচ্ছে কার্ডধারী পরিবার  ও সরকারের।

একে তো সংসারের অভাব মেঠাতে দৈনিক দিন মজুরীসহ কাজের সন্ধানে চলছে গুচ্ছগ্রামের অসহায় মানুষগুলোর জীবনের চাকা। রামগড় উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে সরকার প্রদত্ত রেশন কার্ডের ডিও (চাউল ও গম) পরিবহন করার ফলে প্রজেক্ট চেয়ারম্যানদের দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

বর্তমানে গুইমারাকে  উপজেলা ঘোষানা করায় গুচ্ছগ্রাম পরিবারদের অতিরিক্ত খরচ থেকে বাঁচার সহজ উপায় থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করার কারনে অতিরিক্ত খরচ থেকে বাঁচতে পারছেন না গুচ্ছগ্রামের অসহায় পরিবার গুলো।

সিন্ধুকছড়ি, বড়পিলাক, জালিয়াপাড়া ও হাতিমুড়া গুচ্ছগ্রামের কার্ডধারী পরিবারদের দাবী অচিরেই ৪ গুচ্ছগ্রামের ১২শ ৩৭ কার্ড পরিবারের অসহায়ত্ব ও সরকারের ব্যয় কমাতে প্রজেক্ট চেয়ারম্যানদের গুইমারা খাদ্য গুদাম খাদ্যশষ্য উত্তোলনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক এমটায় দাবী কার্ডধারীদের।

সমর্থন জানিয়ে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর দুঃখ লাগবে অনেকটা সহায়ক হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন জালিয়াপাড়া গুচ্ছগ্রামে প্রজেক্ট চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মেম্বার ও গুইমারা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও গুচ্ছগ্রাম গ্রজেক্ট চেয়ারম্যান আহম্মদ কবির।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুইমারা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অনন্ত বিজয় চাকমা জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি পেলে রেশনের ডিও উত্তোলনে আইনি কোন বাঁধা নেই। জরুরী ভিত্তিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক খাগড়াছড়ি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করেছে অসহায় গুচ্ছগ্রাম পরিবাররা।