English Version
আপডেট : ১৪ মে, ২০১৬ ১৪:৩৩

চিকিৎসাধীন অবস্থায় জমজ শিশু মৃত্যু

ইমদাদুল
চিকিৎসাধীন অবস্থায় জমজ শিশু মৃত্যু

পাইকগাছায় সালমা বেগম নামে এক গৃহবধুর গর্ভে জমজ (কনজয়েন্ট টু-ইন) শিশুর ভূমিষ্ট হয়। তবে জন্মের আড়াই ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই শিশু মৃত্যু হয় বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

পৌর সদরের শুক্রবার (১৩ মে) বিকাল ৩.৪০টায় সরলস্থ শাপলা ক্লিনিকে এ জমজ শিশু দু’টির জন্ম হয়।

জমজ শিশুর জন্মের খবর শুনে ক্লিনিকে শত শত উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। অনেকেই বলেন এ ধরনের শিশু জন্মের খবর বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও টিভিতে দেখেছি। তবে এবারই প্রথম স্বচক্ষে এ ধরনের শিশু দেখে হতভম্ব হয়ে যান অনেকেই।

জানাগেছে, উপজেলার বান্দিকাটি গ্রামের রাশেদ জোয়াদ্দারের সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী সালমা বেগম (২২) কে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে পৌর সদরের সরলস্থ শাপলা ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ বিপিন বিহারী সরকারের সফল অপারেশনে (সিজারিয়ান) গৃহবধুর গর্ভে জমজ (কনজয়েন্ট টু-ইন) দুইটি শিশু পুত্রের জন্ম হয়।

ক্লিনিকের পরিচালক ডাঃ তাপস কুমার মিস্ত্রী জানান-প্রায় আধা ঘন্টার সফল অপারেশন শেষে গৃহবধু সালমা বেগমের গর্ভে জমজ দুইটি শিশুর জন্ম হয়। তবে জন্মের আড়াই ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। তিনি জানান শিশু দু’টির গলার নিচ থেকে নাভির উপর পর্যন্ত সম্পূর্ণ বুক জুড়ে জোড়া লাগানো ছিল। তবে দুটি মাথা, ৪টি হাত ও ৪টি পা পৃথক ছিল। এ ধরনের শিশুদের ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

স্থানীয়ভাবে এলাকায় তেমন কোন ব্যবস্থা নাই, অপরদিকে রোগীর স্বজনরা গরীব ছিল। সেক্ষেত্রে চিকিৎসার উন্নত ব্যবস্থা হলে হয়তো আরো কিছুটা সময় শিশু দু’টির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল।

শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মুহাম্মদ কওছার আলী গাজী জানান, জন্মগতভাবে ত্রুটি ও বিভিন্ন কারনে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। এ ধরনের শিশুদেরকে কনজয়েন্ট টু-ইন বলা হয়ে থাকে। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলে কিছু কিছু বাঁচানো সম্ভব হলেও! এ ধরনের শিশুদের ক্ষেত্রে অধিকাংশই মারা যায় বলে তিনি জানান।