English Version
আপডেট : ১৩ মে, ২০১৬ ১২:৪২

নড়াইলের হাটে রসালো ফলে সয়লাব

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের হাটে রসালো ফলে সয়লাব
তাজা লিচু

বৈশাখের ক্রান্তিলগ্নে এবং জৈষ্ঠের শুরুতে এই মাঝামাঝি সময়টাকেই মধু মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সময়টাতেই রসালো সব ধরনের ফলের আগমন ঘটে বাজারে। আম, লিচু, কাঁঠাল, এই তিন ফলই মধুমাসের প্রধান বিশেষত্ব। এক দিকে জৈষ্ঠের খরতাপ অন্যদিকে প্রাণ জুড়ানো ফলের সমারোহ। কিন্তু প্রাকৃতিক সেই সময়ের পূর্বেই বাজারে এখন মৌসুমি ফলের আধিপত্য বেশ। 

এরই মধ্যে দেশের প্রতিটি অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামে আসতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল। বিশেষ করে জিভে জ্বল আসা রসালো ফল “লিচুই” এখন মানুষের প্রধান আকর্ষণ। যদিও চড়া দাম, তবুও যেন দম নেই বেচাকেনায়। এরই মধ্যে উঠতে শুরু করেছে আম ও কাঁঠাল। আম, কাঁঠাল ও লিচুর রাজত্ব যে সব অঞ্চলকে ঘিরে, সেই সব অঞ্চল অপেক্ষায় রয়েছে মধুমাসের। জৈষ্ঠের শুরুতে এবং মাঝামাঝি সময়েই দেশজুরে থাকবে সেই সব রসালো ফলের আনাগোনা। গ্রীষ্মের বিদায় বেলাই যেন ক্লান্তি আর সুখের মিলনমেলা। নড়াইল শহরসহ প্রত্যেক উপজেলার সব ফলের বাজারেই এখন লিচুর দেখা পাওয়া যায়। 

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে রাজশাহী ও দিনাজপুরের লিচুর প্রভাব শুরু হবার পূর্বেই দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে কিছু কিছু লিচু আসছে। বিশেষ করে বরিশাল, ময়মনসিংহ, মুন্সিগঞ্জ থেকেই বর্তমানে লিচু শহরে প্রবেশ করছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। 

ফল ব্যবসায়ী গৌতম বলেন, ’১২ মাসই এখানে একটার পর একটা ফল আসে, পাইকারি বেচাকেনা হয়। তবে গরমের সময় একটু বেশি থাকে। কয়েকদিন ধরে মৌসুমি ফল উঠতেছে, যেমন ধরেন লেচুর চাহিদা একটু বেশি, এতদিন জাঁকজমক ছিল তরমুজের বাজার’। শহরের পাইকারি হাট থেকেই সর্বত্র নিয়ে যান খুচরা বিক্রেতারা। অনেক আকর্ষণীয় সাঁজে ফলের পসরা নিয়ে বসেন তাঁরা। তবে এসব রসালো ফল বিক্রিতে কোন রকম বেগ পেতে হয় না তাদের। অতিরিক্ত চাহিদার ফলে, খুব সহজেই অতিরিক্ত লাভের অংক গুনেন তাঁরা। 

ক্ষুদে ফল ব্যবসায়ী সুবাস, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মুচিপোলে ফলের ব্যবসা করে আসছেন তিনি। মৌসুমের পূর্বেই তাঁর দোকানে লিচুর সমাহার। বিক্রি করছেন একশ (১০০) লিচু সাড়ে পাঁচশ থেকে ছয়শত (১৫০-২৫০) টাকা পর্যন্ত। এই চড়া দামের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন তো লেচুর সিজন (মৌসুম) না, এ জন্যে দামটা একটু বেশি। তবে এই লেচু খেয়ে মজা পাবেন। 

অপরদিকে ফলের রাজা ও দেশের রাজা ফল, “আম কাঁঠাল”ও বাজারে উঠতে দেখা যায়। যদিও সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সর্বসাধারণের নাকের ডগাতেই থাকবে স্বাধে মধুময় এসব ফলের দাম। তবুও যেন তর সইছে না অনেকের। অতিরিক্ত দামেও প্রথম স্বাধ নিতে ব্যস্ত অনেকে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন অলিগলি সড়কের মোড় ও হাটবাজারেও এখন ফলের দোকান দেখা যায়। আর এসব দোকানের এখন মূল আকর্ষণ রসালো ঐসব ফল। নির্দিষ্ট দামে নয়, ক্রেতা বিক্রেতার সমঝোতাতেই বেচাকেনা হচ্ছে এসব ফল। এমনটাই দেখা যায় অনেক ফলের দোকান গুলোতে ঘুরে।