রাত হলেই চার দিকে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। তার ভেতর থাকে না বিদ্যুৎ। ফলে রাত হলেই খাগড়াছড়ি পরিণত হয় ভূতের বাড়ীতে। ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের আওতাধীন প্রায় ৪০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক এখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। 

বিদ্যুৎ এর ভেলকিবাজ আর ঘন ঘন লোডসেডিং এ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রাহকরা। রবিবার সন্ধ্যা থেকে টানা প্রায় ৪৮ঘন্টার পর আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জেলার আংশিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হলেও তা আসা-যাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।ফলে অচল হয়ে পড়েছে পুরো জেলাবাসীর জীবন। সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলার কর্মজীবি, শিক্ষার্থী, গৃহিনী ও ব্যবসায়ীরা। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় রান্না-বান্নায় বিঘœ হচ্ছে। ফ্রিজে রক্ষিত খাদ্য সামগ্রী পঁচে যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। 

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে শহরে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জন দূর্ভোগ বেড়েছে।  বন্ধ হয়ে  অনেকের সেল ফোন। এমনিতে খাগড়াছড়িতে দিনেরাতে চলে ১২/১৩ ঘন্টা লোড শেডিং থাকে। তার সাথে রয়েছে লো-ভোল্টেজ। ফলে শেয়ারিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো খাগড়াছড়িতে। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় সামান্য ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পর থেকে খাগড়াছড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মে: আবু জাফরের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না শর্তে জানান,গত রবিবার থেকে ষ্টেশনে অনুপস্থিত রয়েছেন। একটি সূত্র জানায়, তিনি মাসের অধিকাংশ সময়ই ষ্টেশনে থাকেন না। খাগড়াছড়ি জেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা এ পরিস্থিতির অবসান চেয়েছেন।