English Version
আপডেট : ৩ মে, ২০১৬ ১৮:৩৯

পরকীয়ার বলি প্রবাসি স্বামী

আল-মামুন
পরকীয়ার বলি প্রবাসি স্বামী

পরকীয়া প্রেমের পথে বাঁধা হয়ে দাড়ানোর ফলে খুন করা হলো প্রবাসি ফেরত স্বামী মোমিনুল হককে। অবশেষে পুলিশি অভিযানে আটক হলো গুইমারা খুন হওয়া মোমিনুল হক হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী স্ত্রীসহ ৫ জন।

এ ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে (৩৪) সোমবার (২ মে) রাতে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে মঙ্গলবার (৩ মে) সকালে রামগড়ের চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা-সাইফুল ইসলাম (২২), গুইমারার বাসিন্দা ফিরোজ (২৪), আবুল কালাম (২৩), বাবুল (৪৫) ভিন্ন ভিন্ন অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ।

সহকারী পুলিশ সুপার কাজী হুমায়ুন রশিদ এর নেতৃত্বে গুইমারা, রামগড় থানার পুলিশ জড়িতদের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে রামগড় করে রামগড় এএসপি সার্কেল জানান, সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে খুনের সাথে জড়িকদের আটক করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন, এ হত্যাকান্ডে পারিবারিক কলহ ও অর্থ-নৈতিক কারনে ঘটে থাকতে পারে।

পুলিশ জানায়, আটকের পর খুনির মুখের স্বীকারোক্তিতে- প্রবাস ফেরত স্বামী মোমিনুল হক ও তার  স্ত্রীর মধ্যে জগড়া হতো।

বিশ্বস্থ একটি সূত্র জানায়, প্রেমিকসহ রাবেয়া স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করে। ঘাতকদের মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ের মাধ্যমে ভাড়া করা হয়। এক পর্যায়ে পরিকল্পনা মতো ৩ ফেরুয়ারী গুইমারার কবুতরছড়ায় এলাকায় নিহতের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।

নিহতের নাম মোমিনুল হক। সে রামগড়ের পূর্ব চৌধুরীপাড়ার মৃত রবিউল হোসেন সওদাগরের ছেলে। চলতি বছরের ৩ ফেরুয়ারী সৌদি আরব যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ী ত্যাগ করেন। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। ২০০১ সালে রাবেয়ার সাথে মোমিমুল হকের বিয়ে হয়।

তার সাংসারে ৯ বছর বয়সী আলী নামের এক ছেলে ও রহিমা আক্তার নামের ১৪ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

নিহতের মোমিনুল হক ৬ ভাই, ৩ বোনের মধ্যে সবার বড়।

এদিকে মোমিনুল হকের হত্যার ঘটনায় জড়িতদের  দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছে নিহতের স্বজনরা।