English Version
আপডেট : ৩ মে, ২০১৬ ১৫:৩৫
ইভটিজিং ঘটনায়

শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউটে পরীক্ষাসহ ক্লাশ বর্জন

রাজন
শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউটে পরীক্ষাসহ ক্লাশ বর্জন

ইভটিজিং ঘটনাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউটের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (৩ মে) পরীক্ষাসহ ক্লাশ বর্জন করে এই আন্দোলন করছে। এবং যত দিন এই ইভটিজিংকারীর বিচার না হয় ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, শরীয়তপুরস্থ দেওভোগ গ্রামে অবস্থিত গিয়াসউদ্দিন সরকারের বাড়িতে শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কিছু শিক্ষার্থী ম্যাচে থাকতেন। দীর্ঘ দিন ধরে ম্যাচ মালিক গিয়াস উদ্দিন সরকারের ছেলে নাঈম সরকার উক্ত ম্যাচের ৬ ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। ছাত্রীরা সম্মানের ভয়ে সহ্য করতেন।

কিন্তু উপায়ান্তুর না দেখে ছাত্রীরা শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ৬ ছাত্রীকে কলেজ ক্যাম্পাসের শিক্ষকদের বাসভবনে থাকার ব্যবস্থা করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এবং ক্লাশ বর্জনসহ পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।

এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার পরীক্ষাসহ ক্লাশ বর্জন করে।

শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউটের ৬ ছাত্রীকে গিয়াস উদ্দিন সরকারের ছেলে নাঈম সরকার ইভটিজিং করে। তার বিচারের জন্য আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন তাকে গ্রেফতার তো দূরের কথা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তাই আমরা সম্মিলিতভাবে আজকের মধ্য পর্ব পরীক্ষাসহ ক্লাশ বর্জন করেছি। যত দিন এ ইভটেজারের বিচার না হয় ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইভটিজিংয়ের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মধ্য পর্ব পরীক্ষাসহ ক্লাশ বর্জন করেছে। আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত শিক্ষার্থীরা বুঝিয়ে ক্লাশে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।