English Version
আপডেট : ৩ মে, ২০১৬ ১১:০৩

মুয়াজ্জিন অপহরণের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে সাংবাদিক সন্মেলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
অনলাইন ডেস্ক
মুয়াজ্জিন অপহরণের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে সাংবাদিক সন্মেলন

কাদিয়ানি অপবাদ, মসজিদে হামলা, মুয়াজ্জিন অপহরণসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানির প্রতিবাদে নোয়াখালীতে সাংবাদিক সন্মেলন করেছে “আলত্বাফুল বারী ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। 

রোববার দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের শহীদ উদ্দিন এস্কান্দার কচি মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা পরিষদ এর সংযুক্ত নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এম জি আজম চৌধুরী। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ক্বাদরীয়া ত্বরিকাকে কাদিয়ানী অপব্যাখ্যা ও “ইহুদীদের দালাল ও ভন্ড মাইক বিরোধীদের বিরুদ্ধে জেগে উঠো-মুসলিম জনতা” অপপ্রচার চালিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে।

এদিকে ২৮ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে মুয়াজ্জিন হাফেজ হাবিব উল্ল্যাকে সেলিম চৌধুরীর মদদপৃষ্ঠ লোকজন জুতা পরে মসজিদ ও মাদ্রাসায় আক্রমন করে ধরে নিয়ে যায় পরবর্তী গোয়েন্দা সং¯হা ও পুলিশ সেলিম চৌধুরীকে জিজ্ঞাসা করলে সি এন জি যোগে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় নিজ বাড়ীতে পৌছে দেয়, সে বর্তমানে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাদ্বীন রয়েছে এবং হুমকি প্রদান করে যেন উক্ত মসজিদে পুনরায় না যায়,তা হলে হত্যা করার হুমকি প্রদান দেয়।

বক্তব্যে বলেন, হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের মাদ্রাসা থেকে বের হলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, ছাত্রদের অবিভাবকদের সাক্ষাত করতে না দেওয়া, অবিভাবক, ছাত্র, শিক্ষক ও তাদের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে হুমকি, মুসল্লিদের নামাজ ও জু’মা পড়তে বাধা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি-কর্মকর্তাদের কর্ম¯হল ত্যগ করতে চাপ প্রয়োগ, মসজিদে আসতে বাধা, মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালায়।

উল্লেখ্য,খোরশেদ আলম দীর্ঘ ১৬ বৎসর আরব আমিরাতে প্রবাসী ছিলেন, দেশে ফিরে মেসার্স শারমিন এন্টারপ্রাইজ নামে রড সিমেন্টে ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তী দ্বীনি খিদ্মতের উদ্দেশে একটি মক্তব, পূর্নাঙ্গ আবাসিক হাফিজিয়া মাদ্রাসা, পাঞ্জেগানা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন, পরবর্তীতে গত বৎসর পূর্নাঙ্গ জু’মা মসজিদ চালু করেন।  

সেলিম চৌধুরীর সাথে খোরশেদ আলমের ব্যবসায়িক লেনদেন ও একই ত্বরিকার অনুসারী হিসাবে ভাল সর্ম্পক বিরাজ করছিল। বাকিতে রড়-সিমেন্ট না দেয়ায় মনোমালিন্যের সূত্রপাতের পর ৬ মার্চ মাহফিলে মসজিদ সংলগ্ন খোলা ময়দানে মাইকপন্থী আলেমগনকে দাওয়াত দেয়া হয়, এমন পরিস্থিতিতে সাধারন মসল্লিদের সম্মুক্ষে মাইকপন্থী আলেমগনের মুখোশ খুলে যাওয়ার ভয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আধিপত্য/প্রভাব বিস্তারের জন্য কথিত সৈয়দ আলি জামে মসজিদের সভাপতি সেলিম চৌধুরী স্থানীয় জনগন-মুসল্লী, ইমাম-মুয়াজ্জিন, সরকার বিরোধী সংগঠনকে সংগঠিত করে খোরশেদ আলম ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংশ করার নেপথ্যে ক্বাদেরীয়া ত্বরিকার অনুসারীদের উপর অপ-প্রচার ও মাহফিল পন্ড করে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলার প্রচেষ্টা চালায়। 

২৭এপ্রিল একটি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মামলার প্রেক্ষিতে নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ নির্দেশ প্রদান করেন যে--“কেন নিষেদ্বাজ্ঞা দেওয়া হবে না” ১৫ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য বলেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেলিমের মদদ পুষ্ট লোকজন বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে।

এ সকল ঘটনায় তদন্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্টমন্ত্রীর সর্বাধিক সহযোগীতা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করে আল্লাহর ওয়াস্তে নিরাপত্তা সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন,প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারী এজাজ আহমাদ নোয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি সলিম উল্ল্যা মিয়া, সহসভাপতি খোরশেদ আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।