English Version
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০১৬ ১৮:৫২

শরীয়তপুরে গরমে রোগীর সংথ্যা বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক
শরীয়তপুরে গরমে রোগীর সংথ্যা বাড়ছে

শরীয়তপুরে তাপের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ  ছিন্নমূল মানুষের। তীব্র গরমে কষ্ট পাচ্ছে এ জেলার মানুষ। শিশু ও বৃদ্ধরা এই গরমে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মজুর পরিবারের মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, জেলার গোসাইরহাট, ডামুড্যা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া, জাজিরা ও সদর উপজেলা জুড়ে নেমে এসেছে চৈত্রের প্রখর তাপ। প্রচণ্ড তাপে আর এক টানা গরমের কারণে শরীয়তপুরের জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে।গরমের প্রকোপে অভাব মানুষের জীবন বাঁচানোই দায় হয়ে পড়েছে।

উত্তর বালুচরা গ্রামের আবদুল আজিজ শিকদার বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ । প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। কয়েকদিন যাবত অতিরিক্ত রোদে ও প্রচণ্ড গরমের তাপে কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।

ডামুড্যা উপজেলা ধানকাটি ইউনিয়নে দশমনতারা গ্রামের কৃষক সাহাবুদ্দিন ঢালী বলেন আমরা ক্ষেত্রে খামারে কাজ করে সংসার চালাই প্রচন্ড গরমের কারণে ক্ষেত্রে কাজ করতে যেতে পারিনা । এতে করে আমি আমার জমি জমার পরিচর্যা করতে পারছিনা, জমিতে ঘাসে ছেয়ে গেছে, ধানকাটতে কোন বদলা পাচ্ছি না এতে করে আমার পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জাজিরা উপজেলার নাওডোবা গ্রামের কৃষক মজিদ মিয়া বলেন, আমরা প্রতিদিন বদলা দিয়ে সংসার চালাই। প্রচন্ড রোদে ও গরমের কারণে হাত পা সিদ্ধ হয়ে আসছে। কোনো কাজকর্ম করতে পারছি না।

গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্রির খবির খা বলেন, তীব্র রোদে আর এক টানা গরমের কারণে আমরা ক্ষেতে যেতে পারছি না। কিভাবে যে সংসার চালাবো জানি না।

ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নে গোলাম মাওলা রতন বলেন, কয়েকদিন যাবত গরমের কারণে আমদের বাসা থাহতে পারিনা, কোথাও বের হতে পারছি না। কবে যে গরম কমবে তাতো জানি না।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শেখ মোস্তফা খোকন বলেন, তীব্র গরমের কারণে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত,ডায়রিয়া রোগের রোগী বেশি দেখছি। আগের তুলনায় সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া, সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি। আমরা সঠিকভাবে চেষ্টা করছি তাদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য।