English Version
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০১৬ ২০:৫৫

আদালতের নির্দেশনা না মানার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

সুমন মূখাজী
আদালতের নির্দেশনা না মানার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

সৈয়দপুরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের বকেয়া ঋণের ৪৫ লাখ টাকা আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঋণের টাকা আদায়ে আদালতে মামলা করেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০০৩ সালে। কিন্তু দেনাদার কাজী ময়নুল ইসলাম হাজির না হওয়ায় দফায় দফায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অথচ ১৩ বছর ধরে পরোয়ানা তামিল হচ্ছেনা।

ফলে বীরদর্পে পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে দিন রাত ঘুরে বেড়াচ্ছেন আসামি কাজী ময়নুল ইসলাম।  এদিকে পুলিশের বলছে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এ অবস্থায় আদালতের নির্দেশনা না মানায় অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

সোনালী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখা সূত্রে জানা যায়, কাজী ময়নুল ইসলাম ব্যাংক থেকে সিসি (ক্যাশ ক্রেডিট) ঋণ নেয়। ঋণ নেয়ার পর টাকা পরিশোধের কথা তিনি বেমালুম ভুলে যান। পরে ব্যাংক টাকা আদায়ে তাদের নিযুক্তিয় কৌসুলীর মাধ্যমে নোটিশ দেন। তারপরও ঋণ গৃহিতা টাকা পরিশোধে নেয়নি কোন পদক্ষেপ। অবশেষে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০০৩ সালে আসল ও সুদ মিলে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ৫৭৬ টাকা ৮০ পয়সা আদায়ে অর্থ ঋণ আদালত নীলফামারীতে মামলা করেন।

আদালতে মামলা হওয়ার পরেও ব্যাংকের টাকা লোপাটে কৌশল পাল্টাতে থাকেন কাজী ময়নুল। গরহাজির থাকেন আদালতে। এ কারণে আদালত তার বিরুদ্ধে জারি করেন গ্রেফতারি পরোয়ানা। তৃতীয় দফা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত প্রায় আড়াই বছর আগে। এ গ্রেফতারি পরোয়ানাকেও কাজী ময়নুলকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি।

এর পূর্বে আরও দুই দফায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে কাজী ময়নুল।

অনেক সময় এমপি মন্ত্রীদের প্রোগ্রামেও দেখা যায় তাকে পুলিশের সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করতে। তারপরও পুলিশ বলছে তার দেখা মিলছে না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষও পুলিশকে তাকে গ্রেফতারে বহুবার তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু ফল পাননি। এতে সরকারী ওই প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল না হওয়া প্রসঙ্গে কথা হয় ব্যাংকের আইন উপদেষ্টা অ্যাড. হাজী শাহজাহান আলীর সঙ্গে।

তিনি জানান, গ্রেফতারি পরোয়ানায় পুলিশ তামিল না করায় এটি আদালতের নির্দেশনা অমান্যের সামিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আমিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি জানা নেই, খোঁজ নিয়ে বলতে হবে। এই বলেই তিনি মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।