English Version
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০১৬ ১১:৫৭

শরীয়তপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ৪০

অনলাইন ডেস্ক
শরীয়তপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ৪০

শরীয়তপুর সদর ও গোসাইরহাট উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি, দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাত থেকে রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেল জেলার পৃথক স্থানে এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

সদর উপজেলার মুন্সী কান্দী, পূর্ব সারেঙ্গা, ঢালী কান্দি, গয়ঘর, পূর্ব সোনামূখী, পশ্চিম সোনামূখী, চরসন্দী ও গোসাইরহাট উপজেলার লাকাতুয়া, কোত্তাল বাড়ির মোড়, কাশিখন্দ, দাত্রা, দেওয়ান কান্দি, সরকার কান্দি ও মোল্লা কান্দি গ্রামের লোকজনদের মধ্যে কয়েক দফা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহতদের সদর হাসপাতাল ও গোসাইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামে গ্রামে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাত থেকে শরীয়তপুর সদর ও গোসাইরহাট উপজেলার নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী এবং হেরে যাওয়া প্রার্থীর লোকজনদের মধ্যে বাকবিতণ্ড হয়।

একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকান-পাটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে পালং মডেল থানা ও গোসাইরহাট থানায় একাধিক মামলা হয়েছে।

সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের মুন্সী কান্দী গ্রামে নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী লিটন মুন্সী ও হেরে যাওয়া প্রার্থী বকাউল মুন্সী লোকজনদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেলিম মুন্সীর নেতৃত্বে বিজয়ী প্রার্থী (মোড়ক মার্কা) লিটন মুন্সী, জামাল মুন্সী, দেলোয়ার সরদার, বারেক মুন্সী, মকবুল সরদারসহ একশ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হেরে যাওয়া প্রার্থী (তালা মার্কা) বকাউল মুন্সী ও (বক মার্কা) রওশনারা আক্তারের বাড়ি-ঘর এবং তাদের সমর্থকদের ১১টি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে, ঢালী কান্দী গ্রামে ৬৩নং ঢালী কান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি জাহিদুর ইসলামের মদি দোকান পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

স্ব স্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।