English Version
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০১৬ ১৮:১৩

ইছামতির বিলে ইরির বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি:
অনলাইন ডেস্ক
ইছামতির বিলে ইরির বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

ফলন ভালো হওয়ায় নড়াইলের লোহাগড়ার লাহুড়িয়ার ইছামতি বিলে ইরি ধান চাষিদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। জানা যায়, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ ইরি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। ইতিমধ্যে স্থানীয় কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেছেন। এলাকার সকল মাঠ জুড়েই ইরি ধানের মৌ মৌ গন্ধ যেন ছড়িয়ে পড়েছে।

একজন কৃষক জানান, লাহুড়িয়া ভাটি এলাকায় নিচু জমিতে ইরি ধান কাটার পর বন্যার সহিষ্ণু শিশুমতি, ডেপো,মনোহর,গোছা, লালদিঘি, জাবড়া, বাশিরাজ, বড়দিঘা, লাল দিঘা প্রভৃতি দেশি জাতের ইরি ধান বীজ গত বৈশাখ-জৈষ্ট মাসে বোনা হয়েছিল। এ ধানের বৈশিষ্ট্য হলো বন্যার পানি যত বাড়ে পানির সাথে পাল্লা দিয়ে ধান গাছও বাড়তে থাকে। তবে খরা দেখা দিলে এ জাতের ধানের ফলন তেমন ভাল হয় না। এ বছরের শুরুতে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে বেশি বৃষ্টি হওয়ায় ধানের ফলন হয়েছে ভাল। দেশি আগাম জাতের ধান চাষে বিঘা প্রতি কৃষকের খরচ হয় প্রায় এক হাজার টাকা। আগাছা দমন ছাড়া তেমন কোনো খরচ নেই। নেই কোনো পোকার উপদ্রপ।

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার তালবাড়িয়া, কালনা,কামঠানা, মোচড়া, চরকরফা, চরবকজুড়ি, কুমড়ি, বাকা, সিংগা, ঝিকড়া, আমাদা, দেবী, শুলটিয়া, নোয়াগ্রাম, সত্রহাজারী, শরশুনা হালনা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুধু ইরি ধানের ক্ষেত। এ বছর ধানের ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকের চোখে-মুখে হাসি ফুঁটছে। নতুন ধান ঘরে তুলতে নতুন গোলা তৈরি করেছেন কৃষকেরা। এলাকার ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নবান্নের উৎসব।

চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯ হাজার ৩শত ৩৫ হেক্টর জমিতে ইরি ধান রোপন করা হয়। এর মধ্যে ৭ হাজার ২শত ২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন এবং ২ হাজার ১শত ১ হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধান রোপন করা হয়। ওই জমিতে ১৭ হাজার ৬শত ৯৪ মেট্রিকটন চাউল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় ওই জমিতে ২০ হাজার ৮শত ১৪ মেট্রিকটন চাউল উৎপাদিত হবে বলে আশা করা যায়। কিন্তু ধানের দাম নিয়ে ঊদ্বিগ্ন কৃষকেরা।