English Version
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০১৬ ১৬:৪২

গুইমারার পাড়ায় পাড়ায় জুয়ার আসর

অনলাইন ডেস্ক
গুইমারার পাড়ায় পাড়ায় জুয়ার আসর

খাগড়াছড়ির গুইমারার পাড়ায় পাড়ায় চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।  এদৃশ্য দেখেও না দেখার ভানে রয়েছে  পুলিশ।

অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে প্রকাশ্যে জুয়ার ঘর বসিয়ে যুব সামাজ ধ্বংসের খেলায় মেতেছে জুয়াড়িরা। যেন অজ্ঞাত কারণেই নীরব পুলিশ প্রশাসন।

জুয়াড়িদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সকল অবৈধ কাজে সহযোগিতা করাসহ দৌড়তে বেড়েছে গুইমারার জৈনক হলুদ সাংবাদিক।

বিজু, বৈসাবী ও সাংগ্রাইকে উপলক্ষ করে এখনো দিনে রাতে গুইমারার বেশ কয়েকটি স্পষ্টে চলছে রমরমা জুয়ার আসর।   

স্থানীয় সূত্র জানায়, গুইমারা উপজেলার বটথলী, আমতলীপাড়া, বটতলাপড়া, চেয়ারম্যান টিলা (বড়থলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ), রামসুবাজার, গুইমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেচনে তরকারী ব্যবসায়ী চাথোয়াই মারমার বাড়িতে প্রতিনিয়তই এ জুয়া খেলা বসে। এ পসঙ্গে পুলিশ প্রশাসনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সাংবাদিকরা অনেক বার অভিহিত করে আসলেও নেয়া হয়নি কোন আইনি ব্যবস্থা। ফলে উৎসাহিত হচ্ছে অপরাধীরা। বাড়ছে অপরাধ মুলক কর্মকান্ড।

এছাড়াও ইতিপূর্বে গুইমারায় বেশ কয়েকটি হত্যাকান্ড, হাজাপাড়া থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ীদের দৌড়তে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা। সব মিলিয়ে গুইমারা উপজেলায় বর্তমানে পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও আইনি ব্যবস্থা নিয়ে হতাশ বলে জানান স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী।

জুয়ার আসর থেকে চাঁদা উত্তোলনসহ অবৈধ কাজের বিষয়ে স্থানীয় জৈনিক হলুদ সাংবাদিকের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি অখত্য ভাষায় গাল মন্দ করে বলেন, যারা এ ধরনের অভিযোগ করেছে তাদের বলুন। আর আমার বক্তব্য লাগলে অফিসে আসুন। এসময় তিনি এ ধরনের কর্মকান্ডের দায় অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জুয়া হয়নি সাংগ্রাই হয়েছে। এটি উপজাতীয়দের বার মাসি উৎসব। তবে রাত হওয়ায় পুলিশ গিয়ে জুয়ার বিষয়ে কোন কিছু পায়নি। এ সময় তিনি জুয়া কোথাই বসে উল্টো প্রতিবেদকে প্রশ্ন করেন।