English Version
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০১৬ ১৫:৫২

নির্বাচন অফিসেই অবৈধ সনদ বানিজ্য

অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচন অফিসেই অবৈধ সনদ বানিজ্য

নড়াইলের লক্ষীপাশা নির্বাচন অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না। ভোটার তালিকা যাচাইয়ের জন্য সাময়িক ভাবে ব্যবহারের সনদপত্র আনতে সাধারণ মানুষের গুনতে হচ্ছে প্রায় দেড়শ টাকা টাকা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করতে না পারলে মিলছে না এই সনদ পত্র।

জানা যায়, দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছে উপজেলাবাসী। উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের রায়গ্রামের বাসীন্দা তরিকুল মিনা অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে আরিফুল মিনার ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সাময়িক সনদপত্র ১০ এপ্রিল নির্বাচন অফিসে আনতে যাই।

অফিস কর্মকর্তা আমাকে বলেন, সনদ নিতে ১২০ টাকা লাগবে। তখন আমি টাকা দিয়ে কাগজ নিয়ে আসি। একই বিষয়ে উপজেলার চরশামুকখোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাকিবুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে জানান, আমি ১০ এপ্রিল রোববার বিকালে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সাময়িক সনদ আনতে যাই। তখন নির্বাচন অফিসের স্টেনোটাইপিষ্ট আতিয়ার রহমান তার অফিস সহকারী সিরাজের মাধ্যমে আমার কাছে ১২০ টাকা দাবি করেন।

কি জন্য টাকা লাগবে জানতে চাইলে সিরাজ বলেন, এটা গভমেন্ট ফি। আগে টাকা পরিশোধ করেন পরে কাগজ দিচ্ছি। টাকার রশিদ চাইলে আতিয়ার রহমান আমাকে বলে এর জন্য কোন রশিদ হয় না। এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিসের স্টেনোটাইপিষ্টি আতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, নির্বাচন অফিসের খরচের একটা ব্যাপার থাকে। তাই আমরা টাকা নিচ্ছি।

অফিস সহকারী সিরাজ টাকা নেয়ার বিষয়ে স্বীকার করে বলেন, আমরা আগামীতে আর নেব না।  এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার শামীম মাহামুদ বলেন, টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই, তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।