English Version
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০১৬ ১৪:৫৫

কুপিবাতি এখন শুধুই স্মৃতি

উজ্জ্বল রায়
কুপিবাতি এখন শুধুই স্মৃতি

গ্রাম বাংলার কুপিবাতি এখন শুধুই স্মৃতি। গ্রাম বাংলার প্রতি গৃহের অতি প্রয়োজনীয় কুপি আজ বিলীন। গ্রামের অমাবশ্যার রাতে মিটি মিটি আলো জ্বালিয়ে মানুষের পথচলার স্মৃতি এখনও তাড়া করে।

একটা সময় ছিল যখন বাহারি ধরনের কুপিই ছিল মানুষের অন্ধকার নিবারণের অবলম্বন। কিন্তু কালের বিবর্তনে কুপি বাতির স্থান দখল করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, চার্জার লাইট, মোম, হারিকেনসহ আরও অনেক কিছুই। ফলে ক্রমেবিলীন হয়ে যাচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় এই নিদর্শনটিও।

এই কুপিগুলো ছিল বাহারি ডিজাউনের ও রংয়ের। এরমধ্যে মাটি, লোহা, কাঁচ আবার পিতলের তৈরী কুপি ছিল । নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী লোকজন কুপি কিনে সেগুলো ব্যবহার করত। বাজারে সাধারণত দুই ধরণের কুপি পাওয়া যেত ছোট ও বড়। কুপি হতে বেশী আলো পাওয়ার জন্য ছোট কুপিগুলোর জন্য কাঠ, মাটি বা কাঁচের তৈরী গছা (ষ্ট্যান্ড) ব্যবহার করা হতো।

এই গছাগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাউনের। কিন্তু বর্তমানে গ্রাম বাংলায় বিদ্যুতের ছোঁয়ায় কুপির কদর হারিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও অবশিষ্ট সময় মানুষ ব্যবহার করেছে বিভিন্ন ধরণের চার্জার লাইট, মোম ও হারিকেন। গ্রাম বাংলার আপামর লোকের কাছে কুপির কদর হারিয়ে গেলেও এখনও অনেক আঁকড়ে ধরে আছেন কুপির এই স্মৃতিকে।

সৌখিন অনেকে এখনও কুপি ব্যবহার করেছেন আবার কেউ এটি সংরক্ষণ করেছেন আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় নিদর্শন হিসাবে। কুপির কদর ও ব্যবহার ক্রমে যেহারে লোপ পাচ্ছে এতে করে নিকট ভবিষ্যতে কুপি বাতির স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না বলে মনে করেছেন বিজ্ঞজনরা।

আবহমান গ্রাম বাংলার কুপি বাতির মতো অনেক ঐতিহ্যময় নিদর্শন আজ প্রযুক্তির কল্যাণে বিলীন হওয়ার পথে। কিন্তু এক সময় ছিল বাংলার প্রকৃত স্বরুপ ও ঐতিহ্য ছিল গ্রাম বাংলার এই নিদর্শন গুলো। তাই নব প্রজন্মকে অতীত ইতিহাস সঠিকভাবে জানানোর স্বার্থে কুপি বাতি গ্রামের ঐতিহ্যময় নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু উদ্যোগ গ্রহণ জরুরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সচেতন মহল।