English Version
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০১৬ ১৬:৩৪

নড়াইলে একইদিনে শিশু ও স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলে একইদিনে শিশু ও স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ

নড়াইলে সদর উপজেলায় পৃথক দুটি ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চাকই বাজারের একটি শিশু ও ইতনা গ্রামে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

 

জানা যায়, বৃহস্পতিবার ( ১৪ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার চাকই বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী আলম মিস্ত্রি (৫৫) গোবরা এলাকার জনৈক ব্যক্তির ১১বছর বয়সের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষন করে। এসময় শিশুটির চিৎকার কান্না শুনে বাজারের লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক আলমকে চাকই বাজারে আটকে রাখে।

 

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, চাকই বাজারে ডা: নিশিত বিশ্বাসের মেয়েকে আলম ফুসলিয়ে তার কাঠ গোলায় নিয়ে ধর্ষন করে। বিছালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বাজারে আসলে ধর্ষকের সামাজিকভাবে বিচার করা হবে। শেষ খবর অনুযায়ী ধর্ষিত শিশুকে তার বাবা নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হয়েছে।

অপরদিকে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে নড়াইলের ইতনা গ্রামে একজন স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক পলাতক।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ইতনা বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে গত মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেশি একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জাহাজ শ্রমিক সোবহান শিকদার (২৭) ধর্ষণ করে। এ সময় সোনিয়ার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লোহাগড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, ‘ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে এবং বুধবার তার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে’।