English Version
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০১৬ ১৯:৪৭

গরুর গাড়ি শুধুই স্মৃতি

উজ্জ্বল রায়
গরুর গাড়ি শুধুই স্মৃতি

 

নড়াইল থেকে হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাংলার গরুর গাড়ী। সেই সঙ্গে হারিয়েছে সখের খেলা গরু দাবড় প্রতিযোগিতাও। ফলে হারিয়ে গেছে গাড়িয়াল পেশাও। এখন নড়াইলে অনেকের কাছে গরুর গাড়ি শুধুই স্মৃতি।

জানা যায়, অতীতে সর্বত্র ছিল গরুর গাড়ির কদর। কি বিয়ে, কি অন্য কোন উৎসব গরুর গাড়ি ছাড়া কল্পনাই করা যেত না। কাল ভেদে গ্রামীন মেঁঠো পথে গরুর গাড়ির চোখে না পড়লেও মাঝে মধ্যে দেখা মেলে কিছুটা মহিষের গাড়ি।

ঐতিহ্যবাহী ওই গাড়িটি টানছে ধান-চাল কিংবা মালামাল।এক সময় এই এলাকায় গরুর গাড়ী চলতো প্রতিনিয়ত। কিন্তু এখন প্রত্যন্ত জনপদেও হারিয়ে গেছে গরুর গাড়ী।

মাঝে-মধ্যে এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে দু-একটি গরুর গাড়ী চোখে পড়ে। কিন্তু এগুলোর অবস্থাও এখন জরাজীর্ণ। আধুনিক সভ্যতায়ে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি হারিয়ে গেছে। এ কারণে বর্তমানে গ্রামের ছেলে মেয়েরাও গরুর গাড়ি যানবাহনটির সাথে পরিচিত নয়।

হবখালী ইউনিয়নের করিম জম্মাদার নামের এক বয়োবৃদ্ধ জানান, আগে বিয়ে বাড়ি বা মালামাল পরিবহনে গরুর গাড়ি ছিল একমাত্র ভরসা। বিশেষ করে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে আমাদের এলাকার কুড়িঢোপ মাঠে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা সাজে সাজানো হত গরু। অঞ্চলে হাওরের ধান ও খড়-কুটো পরিবহনে গরুর গাড়ির ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

গরুর গলায় ঘন্টা লাগিয়ে ছই উঠিয়ে এসব গরুর গাড়ি বিয়ে বাড়িতে নেয়া হত। কার গাড়ি আগে যাবে তা নিয়েও ছিল বিশেষ প্রতিযোগিতা। গ্রামের অবস্থা সম্পন্ন লোকজন ও গৃহস্থরা গরু গাড়ি ব্যবহার করতেন। কখনও কখনও তা আবার ভাড়ায় দিতেন ।

তিনি বলেন, এখন আর গরুর গাড়ি নেই। গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি। যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে এসে সেই জনপ্রিয় গরুর গাড়ি এখন বিলুপ্ত।