English Version
আপডেট : ৮ এপ্রিল, ২০১৬ ১১:১৬
রডের পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে বাঁশ

দর্শনায় কৃষি অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণে জালিয়াতি

আব্দুর রহমান(জসিম), চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
দর্শনায় কৃষি অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণে জালিয়াতি
দর্শনায় সরকারি ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কৃষি সঙ্গনিরোধ অধিদপ্তরের নতুন ভবন। ভবনের বীমে রডের বদলে বাঁশের চটা দিয়ে ঢালাই করছে। নব নির্মিত ভবনে শো পিলার ঢালাইয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে রডের সাথে বাঁশের চটা দেয়া হচ্ছে।

 

এ-খবর পেয়ে এলাকাবাসী ভবনে কর্মরত কয়েকজনকে মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেয়। জনমনে প্রশ্ন সরকারি ভবন নির্মাণে ঠিকাদারদের এই জঘন্য কাজ পুকুর চুরি নাকি হরিলুট চলছে?

গত বুধবার বিকালে নব-নির্মিত ভবনের পার্শ্ববর্তী বাড়ীর পরান মিয়া, দর্শনা সরকারী কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ ও ছাত্রলীগ নেতা রুবেলসহ এলাকার বেশ কয়েকজন যুবকরা ভবন নির্মাণের এ অনিয়ম দেখেন। এসময় আশপাশে অসংখ্য লোকজন ভবনের শো পিলার ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা ব্যবহার করা দেখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানেকে ধিক্কার দেয়।

এরপর ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তুলকালাম কান্ড। এলাকাবাসী এই অনিয়ম দেখে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে। ঢালাইকৃত পিলার হাতুড়ি দিয়ে এবং লাথি মেরে ভাঙতে শুরু করে। ঢালাই কিছুটা ভাঙ্গতেই বেরিয়ে আসে চরম অনিয়মের আর জঘন্য প্রমাণ। ঢালাইয়ের ভেতরে দেখা যায় ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের চটা। জনগণের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ঠিকাদার প্রতিনিধি দলটি সটকে পড়ে। অনেকেই হতবাক হয়ে যায় ৫তলা ফাউন্ডেশনের সরকারি ভবনের পিলারে রডের বদলে কিভাবে বাশের চটা এতবড় বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ঘটনা কিভাবে সম্ভব হয়। এমনি নানা প্রশ্ন জাগে স্থানীয় জনমনে।

এ ব্যাপারে নির্মিত ভবনের পর্যবেক্ষণে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শ্রী শুব্রত ভবন নির্মাণের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করার জন্য জানান, আমি গত ৩/৪ দিন নির্বাচনী ছুটির জন্য বাইরে ছিলাম আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা। প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম তিনিও একই সুরে সুর মিলিয়ে নিজ দায়িত্ব অবহেলার কথা এড়িয়ে গিয়ে বলেন,আমি বিষয়টি শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাবো। যারা এ কাজটি করেছে তারা এটি অনিয়ম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা কামরুন নাহার মিতা জানান, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। বিষয়টি জানার পরে আমি কাজ বন্ধ ও শো পিলার গুলো ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করেছি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য।