English Version
আপডেট : ৫ এপ্রিল, ২০১৬ ২০:৫০

রামগড় সীমান্তে বাংলাদেশ- ভারতের মিলন মেলা

আল-মামুন
রামগড় সীমান্তে বাংলাদেশ- ভারতের মিলন মেলা

 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার খুব কাছাকাছি ভারত সীমান্ত। সীমান্তের এপার-ওপার  রয়েছে অনেকের স্বজন। একটু দেখার অপেক্ষার প্রহর কাটে সীমান্তের স্বজনদের। আর ঐতিহ্যবাহী বারুণী স্নানোৎসবকে ঘিরে বাংলাদেশ-ভারত স্বজনদের মধ্যে বয়ে চলে মিলন মেলা।

আজ মঙ্গলবার সকালে রামগড়ের ফেনী নদীতে বসেছে উভয় দেশের স্বজনদের মিলন মেলা।

রামগড় সাবরুম সীমান্তের ফেনী নদীর দুই পারে বসছে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের নাগরিকদের মিলনমেলা। ব্রিটিশ আমল থেকেই চৈত্রের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে প্রতি বছর ফেনী নদীতে বারুণীস্নানে মিলিত হয় দুই দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। এ মেলাকে ঘিরে দুই দেশের মানুষের মধ্যে তৈরি হয় ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন।

উভয় দেশের হাজার হাজার পুণ্যার্থীর সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠে ফেনী নদী। তারা পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য তর্পণ করে এখানে। রামগড় ও সাবরুম অংশে নদীর দুই তীরে দুই দেশের পুরোহিতরা সকালেই বসেন পূজা-অর্চণার জন্য। পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা ছাড়াও নিজের পুণ্যলাভ ও সর্বপ্রকার পাপ ও পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে ফেনী নদীর বারুণীস্নানে ছুুটে আসেন সনাতন ধর্মাবলম্বী আবালবৃদ্ধবণিতা।

এছাড়া দুই দেশে অবস্থানকারী আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার জন্যও অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ছুটে আসে। ঐতিহ্যবাহী এ বারুণী মেলা উপলক্ষে বহুকাল থেকেই এই দিনে দুই দেশের সীমান্ত অঘোষিতভাবে কিছু সময়ের জন্য উন্মুক্ত থাকার সুবাদে এপার বাংলার মানুষ ছুটে যায় ওপারের সাবরুম মহকুমা শহরে। আবার ওপারের লোক এসে ঘুরে যায় রামগড়। শুধু হিন্দু নয় এ মেলায় দু’দেশের সকল জাতী গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের মানুষের মিল বন্ধ অঠুট হয় ভ্রাতৃত্বের। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপলব্দি করেন দু’দেশবাসী।