English Version
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০১৬ ১৭:৪৮

খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা লাঞ্চিতর প্রতিবাদে মানববন্ধন

জসিম
খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা লাঞ্চিতর প্রতিবাদে মানববন্ধন

খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোফাক্ষারুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত, চাঁদা দাবী ও নানা হুমকির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় দামুড়হুদা উপজেলা গত বুধবার  প্রায় ৩ শতাধিক সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা মৌন মিছিলসহ মানব বন্ধন করেছে। নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমানের নেতৃত্বে এই মিছিলসহ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এব্যাপারে গতকাল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোফাক্ষারুল ইসলাম বাদী হয়ে যুবলীগ ক্যাডার মশিউর রহমান রানা  (৩২) ও রানার শ্বশুর আরিফুর রহমানের (৫৫) বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।

রানা উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ও তার শ্বশুর আরিফুর রহমান একই গ্রামের মৃত. বজলুর রহমানের ছেলে। গতকাল বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত রানাকে এক বছরের কারাদন্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফকির পাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে রানা ও তার শ্বশুর একই গ্রামের মৃত. বজলুর রহমানের ছেলে আরিফুর রহমান দীর্ঘদিনধরে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোফাক্ষারুল ইসলামকে নানান ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় চেষ্টা করে আসছিল।

অনৈতিক সুবিধা না দিলে চাঁদা দিতে হবে বলেও ভয় ভীতি দেখিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্তরে অবস্থিত খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে সরকারী কাজে কর্মরত অবস্থায় থাকা মোফাক্ষারুল ইসলামকে রানা ও আরিফুর অফিসে ঢুকে লোহার রডসহ কাঠের রোলার দিয়ে মার ধোর শুরু করে। এসময়ে টেলিফোন, আসবাবপত্র ভাংচুরসহ ফাইলপত্র তছনছ করে তারা চলে যায়।

মারধরের এক পর্যায়ে মোফাক্ষারুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এসময় অফিসের অন্য কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান উপজেলার সকল দপ্তরের প্রায় ৩ শতাধিক কর্মকর্মা কর্মচারীদের একত্রিত করে দুপুর ২ টায় পরিষদ চত্তর থেকে মৌন মিছিলসহকারে বের হয়ে পরিষদের সামনে দামুড়হুদা-মুজিবনগর মহাসড়কে প্রায়ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান বলেন, একজন সরকারী কর্মকর্তার প্রতি যে সন্ত্রাসী আক্রমণ হলো আমরা তার দৃষ্টান্ত মুলক বিচার চাই। যাতে করে ভবিষ্যতে আর কোন সরকারী কর্মকর্তাকে এখাবে সন্ত্রাসীরা লাঞ্চিত করতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, আজ আমরা মানব বন্ধন করলাম। এতে কোন কাজ না হলে আমরা সামনে বড় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।  বিকেল ৫টায় দলীয় নেতারা রানাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে দঃ বিঃ ১৮৯, ৩৫৩ ধারায় দোষি সাবস্ত করে এক বছরের কারাদন্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।

আদালতের আদেশের পর পরই সন্ধা ৬ টার দিকে রানাকে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে সোপর্দ করে আসে।