English Version
আপডেট : ২২ মার্চ, ২০১৬ ১৬:৩৪

শেফালীর গণসংযোগে হামলায় গণপিটুনীর শিকার ফারুকের দুইকর্মী

জসিম
শেফালীর গণসংযোগে হামলায় গণপিটুনীর শিকার ফারুকের দুইকর্মী

চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কবিখালী গ্রামে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেফালী খাতুনের গণসংযোগে হামলা করেছে ঈমান আলী ও সোহেল রানা নামের দুই কর্মী। এ হামলার ঘটনায় দুই কর্মীকে গণপিটুনীর দিয়েছে শেফালীর সমর্থকরা।

গত সোমবার রাত ৯ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক হোসেন জানান,  শেফালী খাতুনের সমর্থকরা তার দুই কর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গণপিটুনী দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে শেফালী খাতুন জানান, আগামী ৩১ মার্চ চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়নের নির্বাচনে আমি একজন মহিলা চেয়ারম্যান প্রার্থী । আমার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেনের সমর্থক কবিখালী গ্রামের ঈমান আলী ও সোহেল রানা পিস্তলসহ আমার গণসযোগে হামলা করে। এবং ভাংচুর করে। পাশাপাশি গণসযোগ না করার হুমকি দেয়।

এসময়ে স্থানীয় জনগণ এর প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র বের করলে জনগণ তাদের গণপিটুনী দেয়। গণপিটুনীর শিকার হয়ে তারা পালিয়ে যায়। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এস আই সাইদুর রহমান ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

এস আই সাইদুর রহমান জানান, ওসি সাহেবের নির্দেশে কবিখালী এসে স্থানীয় জনগণের কাছে শুনলাম চেয়ারম্যান প্রার্থী শেফালী খাতুনের গণসংযোগ চলাকালীনসময়ে ঈমান ও সোহেল রানা নামের দুজন পিস্তল নিয়ে গণসংযোগে আসছিল। তবে কি কারণে তারা আসছিল তার জানার চেষ্টা করছি।

একই বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পর এলাকায় ফোর্স পাঠানো হয়। তবে কোনো বড় ধরণের ঘটনা না ঘটলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী শেফালী খাতুন থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।

আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক হোসেন মুঠোফোনে ওসিকে জানান, তার দুই কর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গণপিটুনী দিয়েছে শেফালীর সমর্থকরা।

জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার চারটি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ মার্চ। এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা নিজ নিজ পক্ষে চলছে প্রচারনা।