English Version
আপডেট : ২০ মার্চ, ২০১৬ ১৫:১২

খাগড়াছড়িতে চাঁদা না পেয়ে আবাদি জমি নষ্ট

আল-মামুন
খাগড়াছড়িতে চাঁদা না পেয়ে আবাদি জমি নষ্ট

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিলে দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে ৫ একর রোপন করা আবাদি জমি নষ্ট করে দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা। গচ্ছাবিলের বকড়ীপাড়া এলাকায় শুক্রবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অাবাদি জমি মালিকদের কাজ থেকে দাবীকৃত ২০ হাজার টাকা না দেওয়া পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি জানার পর আমি গচ্ছাবিলের বকড়ীপাড়াস্থ ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছি। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বকড়ীপাড়া সেনা ক্যাম্প থাকায় ফলে সন্ত্রাসীরা দিনের বেলায় সক্রিয় হতে না পারলেও রাতের আধারে স্থানীয়দের সবজি আবাদি জমি ধ্বংস করে গাঁ ঢাকা দিয়ে আছে বলে জানান স্থানীয়রা।

জমির মালিক মঈনুল হক জানান, ১৯৯৭ সালে অলিয়া চাকমা ও তুইত্তা মোহনের কাজ থেকে তয় শ্রেণীর এ টিলা ক্রয়ের পর থেকে আবাদ করে আসছি। গত কিছু দিন থেকে চারা রোপণের জন্য কাজ শুরু করলে কানি প্রতি ২ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এ ভাবেই নির্বিচারে শিমলা আলু (ঠেংগা আলু) ও কাকরল আবাদি জমি নষ্ট করে দেয় দুস্কৃতিকারীরা। এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় ১ লাখ টাকা বলে জানান জমি মালিক।  

সূত্রে জানায়, স্থানীয় বরুন চাকমা, বিজয় চাকমা, চন্দ্র সেন চাকমা, কেরাঞ্জন চাকমা ও অংসা মারমা চাঁদাদাবী আসছিল।

বরুন চাকমা ও বিজয় চাকমা উপজাতীয় একটি সংগঠনের নামে গত ১৫ই মার্চ বুধবার ও বৃস্প্রতিবার সন্ধ্যায় মোবাইলে চাঁদার টাকার জন্য হুমকি ধমকি দেয়। টাকা না দিয়ে এ জায়গা কোন সবজি আবাদ করা হলে তা উপরে ফেলারও হুমকি দেয়। পরদিন বৃহস্প্রতিবার গভীর রাতেই এ ঘটনা ঘটে।   

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সবজি জমির মালিক মঈনুল হক ও মিজান মোল্লা এ ঘটনায় জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি এবং উপযুক্ত ক্ষতিপুরণের দাবী করেন।