English Version
আপডেট : ১৭ মার্চ, ২০১৬ ২২:০১

‘উত্তরবঙ্গের মানুষ এখন মঙ্গ আর জঙ্গীবাদ ভুলে গেছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘উত্তরবঙ্গের মানুষ এখন মঙ্গ আর জঙ্গীবাদ ভুলে গেছে’

রাজশাহী প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গে বছরে দুইবার মঙ্গা হতো কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গে কোনদিন মঙ্গা হয়নি। এদেশের মানুষ মঙ্গা ভুলে গিয়েছে। বাংলাভাই সৃষ্টি করে এ দেশে জঙ্গীবাদের সৃষ্টি করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সেই জঙ্গীবাদ বাংলার মাটি থেকে উৎখাত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

আমু আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবীর বুকে একটি মর্যাদাশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২১ সালের আগেই ২০১৮-২০১৯ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর হবে। গত মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী কাশিয়াডাঙ্গা কলেজ মাঠে রাজশাহী জেলা যুবলীগের সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের অপবাদ ঘুচিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা “ চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ”পুরষ্কার পেয়েছেন। পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য ১৯৯৮ সালে তিনি ইউনেস্কোর “ ফেলিক্স হোফে-বোইনি” শান্তি পদকে ভূষিত হন। এটাকে বলা হয় দ্বিতীয় নোবেল শান্তি পুরষ্কার। ২০০৯ সালে তিনি এশিয়ার নোবেল খ্যাত ইন্দিরা গান্ধি পদকে ভূষিত হন। এরকম অনেক সম্মান তিনি জাতির জন্য বয়ে এনেছেন। তবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি হলো - “ জনগণের ক্ষমতায়ন ” বিশ্ব শান্তি দর্শনের স্বীকৃতি।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন তাজমহল, লালবাগ কেল্লা, ঢাকেশ্বরী মন্দির বা আহসানমঞ্জিল বানানো নয় - উন্নয়ন হচ্ছে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতু, পাতাল রেল ইত্যাদি। যে উন্নয়ন বিগত একশ বছরেও হয়নি - যা মোঘল আমল, ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমল বা বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, গবেষক, বুদ্ধিজীবীরা চিন্তাও করেনি তাহাই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা করে দেখিয়েছেন।

যুবলীগ সাধারণ মোঃ হারুনুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই। তিনিই আজকে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে চালিত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা রেখে যুবলীগ এগিয়ে যেতে চায়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এ এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, মো: নুরুল ইসলাম ঠান্ড, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, আব্দুল ওয়াদুদ দারা এমপি, আয়েন উদ্দিন এমপি, আক্তার জাহান এমপি।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, এড্যা. বেলাল হোসাইন,আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আহম্মেদ নাসিম পাভেল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, আসাদুল হক আসাদ, ফারুক হাসান তুহিন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান , সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মিজানুল ইসলাম মিজু, শ্যামল কুমার রায়, জেসমিন শামীমা নিঝুম, নাসরিন সুলতানা ঝরা, সহ সম্পাদক অধ্যক্ষ নবী নেওয়াজ এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা এন আই আহম্মেদ সৈকত, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, রেকায়েত আলী খান নিয়ন প্রমুখ।

প্রথম অধিবেশনের এর সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি মো: আবু সালেহ, সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক একে এম আসাদুজ্জামান।